শঙ্কা উড়িয়ে যাত্রীতে ঠাসা ১৪ লঞ্চ পৌঁছাল বরিশালে

Slider জাতীয়

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর যাত্রী সংকটে পড়তে পারে লঞ্চ- এমন শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে যাত্রীতে ঠাসা ১৪ লঞ্চ পৌঁছাল বরিশাল নদীবন্দরে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) প্রথম প্রহর থেকে লঞ্চগুলো বরিশালে এসে পৌঁছাতে শুরু করে। ভোর সাড়ে ৪টার মধ্যে সবগুলো লঞ্চ এসে পৌঁছে। এ সময়ে যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায় নদীবন্দর।

কুয়াকাটা-২ লঞ্চের যাত্রী মানিক বলেন, আমার মনে হয় ধারণক্ষমতার তিনগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ এসেছে। অনেক যাত্রী বসার জায়গায়ও পায়নি। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

আরেক যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, আমি সুরভী-৭ লঞ্চে এসেছি। লঞ্চটির ছাদেও অনেক যাত্রী ছিল।
এ্যাডভেঞ্জার-১ লঞ্চের যাত্রী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কম ভাড়ায় কয়েকদিন যাত্রী এনেছিল। এখন আবার সেই আগের ভাড়া আদায় করছে। ডেকে ৩৫০ টাকা করে ভাড়া আদায় করেছে।

সুন্দরবন-১১ লঞ্চের যাত্রী মনির হোসেন বলেন, সুন্দরবন ছাড়াও প্রায় সবগুলো লঞ্চের যাত্রী ছিল আগের ঈদের মতই। ছাদও ছিল পরিপূর্ণ। ডাবল কেবিন ২৪শ, সিঙ্গেল ১৪শ টাকা করে ভাড়া নিয়েছে। আর ডেকেও আগের ভাড়া ৩৫০। তারপরও বেশ চাপ ছিল যাত্রীর।

বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিনেই যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে এসেছে সরাসরি রুটের ১০টি এবং ভায়া রুটের ৪টি লঞ্চ।

কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, যাত্রীরা যেন হয়রানির শিকার না হন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ নদীবন্দরে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে। স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিনেই যাত্রীপূর্ণ হয়ে প্রত্যেকটি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে এসেছে।

আজ বরিশাল নদীবন্দরে ঢাকা-বরিশাল সরাসরি রুটে মোট ১০টি লঞ্চ এসেছে। লঞ্চগুলো হলো- এমভি মানামী, সুরভী-৭, সুরভী-৯, পারাবত-৯, পারাবত-১২, সুন্দরবন-১১, কুয়াকাটা-২, এ্যাডভেঞ্জার-৯, এ্যাডভেঞ্জার-১ ও কীর্তনখোলা-২। এছাড়া চারটি ভায়া লঞ্চ নদী বন্দরে যাত্রী নামিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *