কত ঘণ্টা ঘুমালে কমতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি?

লাইফস্টাইল


দ্রুত গতির জীবনযাত্রায় এখন অভ্যস্ত আমরা। মাঝে মধ্যেই রেস্তরাঁর খাবার খাওয়া, রাত করে ঘুমানো, শরীরচর্চায় অনীহা— এ ধরনের অভ্যেসগুলোকে প্রশ্রয় দিতে দিতে কখন যে বিপদের সম্মুখিন হয়ে পড়ি, সেটা নিজেরাই জানি না।
ফলে যেকোনো বয়সেই হঠাৎ করে থাবা বসাচ্ছে হৃদরোগ। অতিরিক্ত ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস অনেক ক্ষেত্রেই ডেকে আনে হৃদযন্ত্রের সমস্যা।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশন হৃদ‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে বেশ কিছু অভ্যাসে বদল আনার কথা বলেছে। জেনে নিন-

* পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক সাত থেকে ন’ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। সচেতনভাবে উপলব্ধি করতে না পারলেও প্রাত্যহিক ক্লান্তি কাটিয়ে শরীর সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।

* ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যাগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। হৃদরোগ ঠেকাতে সবার আগে এ রোগগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। নিয়মিত চেকআপ ও চিকিৎসকরের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখা দরকার, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।

* অনেকেই সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা করেন নিয়মিত। কিন্তু অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চাও ভাল নয় শরীরের জন্য। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া শরীরচর্চা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অপরিকল্পিত শরীরচর্চায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু ঘটনাও শোনা যাচ্ছে ইদানিং।

* শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটেও নজর রাখতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও অন্যতম।

* ধূমপান কেবল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এমনটা নয়, হৃদ‌যন্ত্রকে বিকল করে দিতে পারে এ অভ্যাস। তাই হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতে এ অভ্যাসেও বদল আনতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *