সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত আসক্তি কাটাতে যা করবেন

Slider লাইফস্টাইল

প্রয়োজন ছাড়া আজকাল বাড়ি থেকে কেউ বেরই হতে চান না। দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার পর বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কারও যেন আর সময় কাটানোর ধৈর্য হয় না। বরং সারাক্ষণের টেনশন কমাতে আর বন্ধুবান্ধব-পরিচিতদের খবর নেওয়ার একমাত্র ভরসা উঠেছে ইন্টারনেট। কারও কারও দিনের অনেকটা সময়ই চলে যায় মোবাইলের স্ক্রিনে স্ক্রোল করতে করতে। মোট কথা জীবনটা যে কখন সম্পূর্ণভাবে সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভর হয়ে পড়েছে তা অনেকে বুঝতেও পারেন না।

কেউ কেউ আছেন দিনের সিংহভাগ সময় সামাজিক মাধ্যমে বুঁদ হয়ে কাটান। মাঝে মাঝে সামাজিক মাধ্যমে আপডেট দেখে নিজেই হাঁফিয়ে ওঠেন অথচ ছাড়তেও পারেন না। কোনো কিছু পোস্ট করার পরে বারবার ক’টা লাইক, কমেন্ট পড়ল দেখতে উসখুস করতে থাকেন। এ রকম হলে বুঝতে হবে আপনার জীবন সামাজিক মাধ্যমের উপরে খুব বেশি করে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে এক্ষুনি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

চিন্তাভাবনাহীন পোস্ট

জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কি আপনি বিন্দুমাত্র ভাবনাচিন্তা না করেই সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে দেন? মনে রাখবেন, জীবনটা উপভোগ করে বাঁচার জন্য, তার প্রতিটি মুহূর্ত স্যোশাল মিডিয়ায় দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামবেন না।

প্রতি মুহূর্তে হাতে ফোন থাকে

সেকেন্ডে সেকেন্ডে ফোন চেক করা কি আপনার স্বভাব হয়ে গেছে? কাজের ফাঁকে, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার সময়, মাঝরাতে ঘুম ভেঙেও সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখেন, অথচ কী দেখছেন, কেন দেখছেন, নিজেই জানেন না? এ রকম হলে কিন্তু জোর করে এবং সচেতনভাবে ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেকে! পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকার সময় বা ঘুমোনোর সময় ফোন দূরে রাখুন। নিজের জন্য সামাজিক মাধ্যম দেখার একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। একটানা ১৫ দিন এভাবে একটানা করতে পারলে নেশা একটু হলেও কমবে।

কবজিতে, পিঠে, ঘাড়ে টনটনে ব্যথা

আজকাল কবজি, আঙুল বা পিঠে-ঘাড়ে খুব ব্যথা হচ্ছে? মোবাইলে স্ক্রোলিং করতে গেলে ব্যথার ভাব আরও বাড়ছে? তা হলে বুঝতে হবে আপনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি স্ক্রোল করছেন। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে জোর করে হলেও কিছুটা সময় স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন। ১০ মিনিট দিয়েই শুরু করুন, তারপর ধীরে ধীরে সময়টা বাড়াবেন!

সামাজিক মাধ্যমের কমেন্ট আপনাকে প্রভাবিত করে

মনের মতো কমেন্ট না পেলে বা কমেন্ট আদৌ না পেলে কি আপনি বিষন্নতায় ভুগতে থাকেন? বা অন্য কোনো সামাজিক মিডিয়াকে বন্ধুকে সাজগোজ, রান্নাবান্না বা মতামতের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলে অসুবিধে হয়? এমন হলে বুঝতে হবে আপনাকে সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকতে হবে।

বারবার পোস্ট এডিট

চার লাইনের পোস্ট লিখতেও বহুবার এডিট করতে হয় আপনাকে? বারবার কিছু না কিছু খুঁত খুঁজে পান? শুধু মনে হয় সামাজিক মাধ্যমে ঠিকমতো নিজেকে প্রকাশ করতে পারছেন না? এই উদ্বেগের অর্থ, এবার কিছুদিন সামাজিক মাধ্যম থেকে ছুটি নেওয়ার সময় হয়েছে। ভার্চুয়াল জীবন থেকে বেরিয়ে বাস্তবের দিকে তাকিয়ে দেখুন সেখানে আপনি কী কী মিস করছেন। পৃথিবীটা যে সামাজিক মাধ্যম নির্ভর নয় এটা আপনাকে বুঝতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *