এত নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে মেয়েটি প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চের সামনে গেলেন!

Slider টপ নিউজ

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শেষে গতকাল শনিবার মাদারীপুরের শিবচরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সেতুটি উদ্বোধন ও আওয়ামী লীগের জনসভা শেষ করে যখন তিনি মঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই চারদিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই মঞ্চের সামনের পানিতে নেমে সাঁতরাতে দেখা যায় এক তরুণীকে। সাঁতরে প্রধানমন্ত্রীর সামনে গিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলেনও ওই তরুণী। তখন প্রধানমন্ত্রীও সেই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন।

দূর থেকে দেখা যায়, লাল-কালো কামিজ আর কমলা সালোয়ার পরিহিত ওই তরুণী বাধাহীনভাবেই সাঁতরে চলে যান মঞ্চের সামনে। সে সময় টেলিভিশন ক্যামেরাও ঘুরে যায় তার দিকে। হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে আর ওড়নাকে আঁচলের মতো করে সামনে পেতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন ওই তরুণী।

সে সময় মঞ্চে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের একজন হাত নেড়ে তাকে ফিরে যেতে বলছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে তাকে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। তরুণীর সঙ্গে তাকে কথাও বলতে দেখা যায়।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা শেষ করে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে খুব খুশিতে হাসতে শুরু করেন ওই তরুণী। তারপর তিনি সাঁতরে অন্য পাড়ে গেলে নারী পুলিশের দুই সদস্য তাকে ধরে উঠতে সাহায্য করেন। এ সময় ভেজা শরীরে তাকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বলেন সেই তরুণী?

এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‌‘মেয়েটি বলতেছিল, ‘আমার কিছু নাই, আমার কিছু নাই, আমারে কিছু একটা করে দেন।’ প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, ‘আমি দেখব, তুমি এখন ওখানে যাও। আমি তোমাকে দেখতে বলব। পানি থেকে আগে ওই দিকে যাও।’

আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‘আমি তখন মেয়েটিকে বললাম, তোমাকে দেখবেন, তুমি পুলিশের কাছে যাও। প্রধানমন্ত্রী বলার পর মেয়েটি কিনারের দিকে যাওয়া শুরু করে।’

ওই তরুণীর পরিচয় জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি, মেয়েটিকে দেখে মনে হয়েছে, কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আমরা পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।’

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলও ওই তরুণীর পরিচয় জানাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ওই ঘটনার পর মেয়েটি তার বাসায় চলে গেছেন। এত নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চের সামনে যেতে পারলেন সে প্রশ্নের উত্তরও মেলেনি পুলিশ সুপারের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *