গাজীপুরে একটি সরকারী অফিসে চার জন মৌসুমী স্টাফ!

Slider টপ নিউজ

গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে চারজন মৌসুমী ষ্টাফ পাওয়া গেছে। তারা একটি করে অফিস কক্ষ ব্যবহার করে সরকারী চেয়ার-টেবিলে বসে অফিসারের মত কাজকর্ম করছেন। ভূমি রেকর্ড জরিপ অফিসে এ ধরণের স্টাফ নিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুর শহরের বরুদা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এই অদৃশ্য।

সরেজমিন দেখা যায়, দোতলা বাড়ির পুরোটিই এই সরকারী অফিস। অফিসের নীচতলায় প্রবেশ করতেই দেখা যায় ডান দিকে একটি রুমে সরকারী কর্মকর্তার আদলে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন নুরুন্নবী সুমন। তার নিজের পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে আমতা আমতা শুরু করেন। বার বার তিনি আক্কাছ আলী স্যারের নাম বলছেন। খোজ নিয়ে জানা যায়, সুমন এই অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলীর নিকটাত্মীয়। জমির মালিক কোন ভূক্তভোগীকে সুমনের সাথে কথা বলতে হয়। আক্কাছ আলী সাহেব সরাসরি কোন ভূক্তভোগীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন না।

এই অফিসের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, একই সিটিং-এ চেয়ার টেবিলে বসে সরকারী কাজ করছেন মোঃ রুবেল মিয়া, মাইনুল ইসলাম ও রুদ্র। তারা তিনজনই সরকারী লোক বলে ভূক্তভোগীরা জানেন।

একটি সরকারী অফিসে চার জন অস্পষ্ট স্টাফ সম্পর্কে জানতে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলী, ও একই পদের অফিসার মোঃ মজিবুর রহামানকে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি। সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ভূক্তভোগীরা যে নম্বর জানেন, সেই নম্বরে ফোন করলে নুরুন্নবী সুমন ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর আক্কাছ আলী সাহেবের সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেন।

এই বিষয়ে কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী তাজুল ইসলাম বলেন, সুমন, রুবেল ও মাইনুল মৌসুমী স্টাফ কিন্তু রুদ্র কে তিনি চিনেন না।

প্রসঙ্গত: গোপন সুত্রের খবরে জানা যায, বেশ কিছু সরকারী জায়গা জমি ও বিচারাধীন মামলার নালিশি সম্পত্তি এলোমেলোভাবে রেকর্ডভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সকল তথ্যের সততা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিন গিয়ে এই মৌসুমী স্টাফদের অস্তিত্ব পাওয়া গেলো।
(চলবে–)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *