পদ্মা সেতু দেখানোর কথা বলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

Slider নারী ও শিশু

ধামরাই (ঢাকা): ঢাকার ধামরাই উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী প্রেমিকাকে পদ্মা সেতু দেখানোর কথা বলে একটি রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত প্রেমিক আলামিন হোসেন উপজেলার চরচৌহাট এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে।

ভুক্তভোগী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আলামিনের। এ সুবাদে আলামিন প্রেমিকাকে পদ্মা সেতু দেখানোর কথা বলে শুক্রবার সকালে একটি রিসোর্টে নিয়ে যায়। এর পর ওই স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। দুপুর পর্যন্ত ওই রিসোর্টে অবস্থান করে তারা। বিষয়টি কাউকে না বলতে ওই প্রেমিকাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী।

ওই স্কুলছাত্রী দাবি করে, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথিমধ্যে আলামিনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে সে আমাকে পদ্মা সেতু দেখানোর কথা বলে শুক্রবার সকালে রওনা হয়। এর পর দুপুরের দিকে শহর অঞ্চলের একটি রিসোর্টে নিয়ে যায়। সেই শহর ও রিসোর্ট চিনি না।

সেখানে একটি রুমের ভেতরে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য আমার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় আলামিন। আমি বিকালে বাড়ি ফিরেই আমর দাদাসহ পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করি। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা দাবি বলেন, আলামিন আমার মেয়েটির সর্বনাশ করেছে। আমরা তার কঠোর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই।

তিনি বলেন, চৌহাট ইউপির সাবেক মেম্বার মো. জাকির হোসেন আমাকে থানায় যেতে না দিয়ে শুক্রবার বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করে। আমি প্রহসনের কোনো বিচার-সালিশ মানি না। আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাই।

এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি মেম্বার মো. জাকির হোসেন বলেন, যে ঘটনায় ঘটুক না কেন মেয়েটি বাচ্চা মানুষ। তাই ওর ভবিষ্যৎ নষ্ট করা যাবে না। তাই স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করছি। এতে দোষের কি?

এ বিষয়ে চৌহাট ইউনিয়নের পুলিশ বিট অফিসার কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *