ব্যর্থ টাইগাররা, বিনা উইকেটে দিন পার করল উইন্ডিজ

Slider খেলা


ব্যাটারদের পর বল হাতেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের ২৩৪ রানের জবাবে বিনা উইকেটে ৬৭ রানে দিন পার করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সেন্ট লুসিয়ায় শুক্রবার (২৪ জুন) প্রথম দিন শেষে দুই ক্যারিবীয় ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ৩২ রানে ও ক্রেইগ ব্রাথওয়েট অপরাজিত আছেন ৩০ রানে। বাংলাদেশের তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ পিছিয়ে আছে ১৬৭ রানে। পাঁচ টাইগার বোলার এদিন ১৬ ওভার বল করলেও পাননি উইকেটের দেখা।

এর আগে অবশ্য বল হাতে ক্রিজে আধিপত্য দেখিয়েছেন স্বাগতিক দলের বোলাররা। তাদের সাত বোলারের পাঁচজনই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। দুই দফায় জীবন পাওয়ার পর টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে সাজঘরে ফেরান অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপ। জয়কে বোল্ড করে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। টাইগার ওপেনার ৩১ বলে করেন ১০ রান। অন্যদিকে ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল।

আলজারি জোসেফের বলে পয়েন্টে থাকা জারমেইন ব্লাকউডকে ক্যাচ দেন তামিম। ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলীয় রান স্থির থাকতে আউট হন শান্ত। কাইল মায়ার্সের বলে তিনিও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন। ফেরার আগে ৭৩ বলে করেন ২৬ রান। দলীয় ১০৫ রানে অ্যান্ডারসন ফিলিপের শিকারে পরিণত হন এনামুল হক বিজয়। ব্যাক্তিগত ২৩ রানে বিদায় নিতে হয় দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এ ব্যাটারকে। চার টপ অর্ডারের বিদায়ের পর সাকিব ফেরেন ৯ বলে মাত্র ৮ রান করে।

ইনিংসের ৩৯তম ওভারে সিলসের করা অফ স্টাম্পের বলটি পয়েন্টে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্পে হিট করে টাইগার টেস্ট অধিনায়কের। দুর্ভাগ্যকে সঙ্গী করে সাজঘরে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহানও। আলজারি জোসেফের বাউন্সার তার গ্লাভসে লেগে হাওয়ায় ভাসতে থাকে। উইকেটকিপারও গ্লাভসবন্দি করার জন্য যথেষ্ট সুযোগ পেয়ে যান। ১৯ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।

এর পর সপ্তম উইকেটে টাইগারদের বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াইয়ের ফেরার আভাস দেয় লিটন-মিরাজ জুটি। কিন্তু মায়ার্সের বলে দেখে-শুনে খেলে মেহেদী হাসান মিরাজ পয়েন্ট থাকা ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে তাদের ২৭ রানের জুটি।

৩০ বল মোকাবিলায় ৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তার বিদায়ের পর এবাদত হোসেনকে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি হাঁকিয়ে নেন লিটন। ততক্ষণ সাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন এ উইকেটকিপার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও বিদায় নেন বাজে শটে ক্যাচ তুলে দিয়ে।

আলজারি জোসেফের করা শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ধরা দেন মিড উইকেটে থাকা ব্রাথওয়েটের হাতে। ৭০ বল মোকাবিলায় ৫৩ রান করেন লিটন। তার ইনিংসটি ৮টি চারের মারে সাজানো ছিল। এরপর ক্রিজে এসে ক্যারিবীয় বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নাস্তানাবুদ করতে থাকেন শরিফুল ইসলাম। এবাদতের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৩৬ রানের জুটি।

সিলসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে শরিফুলের ব্যাট থেকে ১৭ বলে আসে ২৬ রান। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এরপর ক্রিজে নেমে এবাদতকে অবশ্য সঙ্গ দিতে পারেননি খালেদ আহমেদ। ১ রান করেই তিনি শিকার সিলসের। আর তাতে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ২৩৪ রানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *