অন্যরকম এক ‘সেঞ্চুরির’ সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্টে এখন পর্যন্ত ১৩৩টি ম্যাচ খেলে ১৬ জয়ের বিপরীতে ৯৯ হার টাইগারদের। ড্র ১৮টি। অর্থাৎ আর একটি মাত্র ম্যাচ হারলেই হারের সেঞ্চুরি হয়ে যাবে বাংলাদেশের। এমন এক তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে চাইবে না কোনো দলই! বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। সেন্ট লুসিয়ায় তাই হারের বৃত্ত ভাঙার প্রাণপণ চেষ্টা থাকবে সাকিবদের। জয়কে পাখির চোখ করেই আজ রাত ৮টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ বছর সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। বছরের শুরুতেই দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন তারা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জিতে ইতিহাস রচনা করেছিল। এর পর থেকেই খেই হারিয়ে ফেলেন টাইগাররা। সাত ম্যাচের মধ্য হার পাঁচটিতে; ড্র একটি। শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করার পর ঢাকা টেস্টে হার ১০ উইকেটে। এর পর উইন্ডিজ সফরের অ্যান্টিগা টেস্টে হার ৭ উইকেটে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ হওয়ায় প্রতিটা ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
জিতলে ১২ পয়েন্ট প্রাপ্তি হবে। ড্র হলে ৪। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের তালিকায় একদম তলানিতে অবস্থান বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে টেবিলের ছয়ে। শক্তির বিচারে ক্যারিবীয়দের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকার পরও সিরিজের প্রথম টেস্ট বাজেভাবে হেরেছেন টাইগাররা। এ জন্য ব্যাটসম্যানরা দায়ী। বোলাররা ভালো বোলিং করেছেন। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে একাদশে একাধিক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাই বেশি। বিশেষ করে নাজমুল শান্ত কিংবা মুমিনুল হক এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। একাদশে দেখা যেতে পারে এনামুল হক বিজয় ও শরিফুলকে। দুজনেই খেলার জন্য প্রস্তুত। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেও তাদের ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। শান্ত, মুমিনুল অফফরম রয়েছেন। আর টেস্টের প্রতি অনীহা মোস্তাফিজের। শরিফুলকে তাই উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতেই বিজয়-শরিফুলকে খেলানোর ভাবনা টিম ম্যানেজমেন্টের।
দুঃস্বপ্নের ভেন্যু অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে চার দিনে টেস্ট ম্যাচ হারের পর এবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয় পেতে মরিয়া বাংলাদেশ দল। এখানে এর আগে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। ২০০৪ সালের সফরে হাবিবুল বাশার (১১৩), মোহাম্মদ রফিক (১১১), খালেদ মাসুদের (১০৩*) সেঞ্চুরির ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। তবে ২০১৪ সালের সফরে ২৯৬ রানের বড় ব্যবধানে হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছিল টাইগারদের। ৪৮৯ রান তাড়ায় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচটি চার দিনেই হেরেছিলেন সফরকারীরা। এবার সে ভেন্যুতে জয়ের খোঁজে সাকিবের বাংলাদেশ।