ঢাকায় রুশ দূতাবাসের (অ্যাম্বাসি অফ দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন) পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণকে বহুমুখী পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। ঢাকা’র নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই মেগা-প্রজেক্টের প্রশংসা করেছে দূতাবাস।
সোমবার (২০ জুন) রুশ দূতাবাস জানায়, পদ্মা সেতু এর বহুবিধ সম্ভাবনার কারণে সত্যিকার অর্থেই ‘গেম চেঞ্জার’। স্থানীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পারস্পরিক সংযোগ, কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য আরও অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে পদ্মা সেতু। এটি দেশের জিডিপি বৃদ্ধি করবে এবং দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গে আমূল উন্নয়ন ঘটবে।
তারা জানায়, ‘পদ্মাসেতুর নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দূরদর্শিতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন আজ আমাদের চোখের সামনে বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
দূতাবাস আরও জানায়, তর্কাতীতভাবে এটা সত্যি যে রোসাটমের সহযোগিতায় রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশটির জনগণের হিতকর অগ্রগতি বহাল থাকবে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে যে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পারস্পারিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এ সময়, দুই প্রান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সেতুর দুই পাড়েই থাকবে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
আরও জানানো হয়, নৌ দুর্ঘটনা রোধে সেতু এলাকায় পদ্মায় চলাচল করা নৌযান ওভারলোড নিয়ে চলাচল করতে পারবে না। নদীতে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে পানি, স্বাস্থ্যসেবা দিতে অ্যাম্বুলেন্স ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জসহ পদ্মা সেতু এলাকার সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা, আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।