আসামে বন্যায় ৫৪ মৃত্যু, তলিয়েছে ৩ হাজার গ্রাম

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে রাজ্য দুটির বহু জায়গায় দেখা দিয়েছে ভূমিধস। আসাম রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) শুক্রবার জানিয়েছে, বন্যায় এই রাজ্যটিতে অন্তত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর জিনিউজ ও এনডিটিভির।

খবরে বলা হয়েছে, রেকর্ড বৃষ্টিপাতে বড় নদীর পানি বেড়ে সৃষ্ট বন্যায় আসামের ২৮ জেলার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব জেলার তিন হাজার গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে নতুন গঠন করা বাজালি জেলা। ব্রহ্মপুত্র ও গৌরঙ্গা নদীর পানি অনেক স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বন্যা কবলিত জেলা প্রশাসন থেকে সতর্কতা জারি করে জরুরি প্রয়োজন কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, টানা তৃতীয় দিনের মতো আসামের রাজধানী গোয়াহাটির বেশিরভাগ স্থান পানি জমে অচল হয়ে রয়েছে। গোয়াহাটির বেশ কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসের কথা জানা গেছে। এতে অজন্তানগর এবং নুনমাটি এলাকায় তিন জন আহত হয়েছেন।

টানা বৃষ্টিপাতে ডিহিং নদীর পানির উচ্চতা বাড়ার পর বুধবার বাকসা জেলার সুবনখাতা এলাকার একটি সেতু আংশিক ধসে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিম্ন আসামের রানগিয়া বিভাগের নালবাড়ী ও ঘোগরাপারের মধ্যবর্তী লাইন ডুবে যাওয়ায় অন্তত ছয়টি ট্রেন যাত্রা বাতিল ও চারটির আংশিক বাতিল করতে হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় ভারতের ৬নং জাতীয় মহাসড়কের কিছু অংশ ধসে পড়েছে ও বন্যায় তলিয়ে গেছে। এ কারণে মহাসড়কটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মহাসড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশের যোগাযোগের একমাত্র উপায়।

মেঘালয়ের রাজ্য সরকার রাজ্যের চারটি অঞ্চল দেখার জন্য চারটি কমিটি গঠন করেছে৷ প্রতিটি কমিটির নেতৃত্বে একজন কেবিনেট মন্ত্রী রয়েছেন।

একদিনে ৮১১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার মাত্র দুই দিন পরে, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় শেষ হওয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৯৫ সালের জুন মাসের পর সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *