যে নিয়ম মেনে কলা খাবেন ডায়াবেটিস রোগী

Slider লাইফস্টাইল

প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এক ফলের নাম কলা। সুমিষ্ট এ ফলটি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এ ফলটি খেতে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীরা কলা খেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কলা খেতে হবে কিছু নিয়ম মেনে। ডায়াবেটিস রোগীরা পনির কিংবা স্প্রাউটের সঙ্গে কলা খেলে বেশি উপকার মিলবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলাতে যে পরিমাণ মিষ্টতা থাকে তা ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে কোনও ক্ষতি করে না। বরং, শরীরে এনার্জি ও পুষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিন্তু কলার বিশেষ অবস্থায় তা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে মতামত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

যেমন বেশি পাকা অবস্থায় কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, বেশি পাকা কলা বা হালকা খয়েরি রং ধারণ করা কলা খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এ ধরনের কলায় স্টার্চ ভেঙে সরল শর্করায় রূপান্তরিত হয়। এ ধরনের সরল শর্করার বিপাক শরীরে খুব দ্রুত হয়। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। আর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেকটাই বিপজ্জনক।

এছাড়া স্বাভাবিক পাকা কলাতে থাকে প্রাকৃতিক সুইটনার। পাশাপাশি থাকে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬। তাই এ ধরনের কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পাকা কলার চেয়ে কাঁচা কলাকে অনেকটাই নিরাপদ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এ ধরনের কলা ডায়াবেটিক ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব বেশি সমস্যার নয়।

কারণ এই ধরনের কলায় থাকে ‘রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ যা ক্ষুদ্রান্ত্রে দ্রুত পাচিত হয় না। যা শর্করার বিপাককে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি পেটের নানা সমস্যা সামলাতেও কাঁচা কলার কার্যকারিতা অতুলনীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *