সীতাকুণ্ডের ঘটনায় তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Slider জাতীয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির ঘটনায় দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি কাজ করছে, তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুক্রবার (১০ জুন) সকালে আনসার-ভিডিপি একাডেমির ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে ২২তম ব্যাচের নবীন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত কমিটির তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, যাদের গাফিলতি পাব, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা যদি ইচ্ছাকৃত কিছু করে থাকে, অবশ্যই তারা সে অনুযায়ী শাস্তি পাবে। তবে তদন্তের আগে কে দোষী, কে নির্দোষ আমরা বলছি না। আমরা মনে করি, এটা তদন্তের পরই সবকিছু পাব।’

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণসহ তাদের আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশপ্রেম ও প্রশিক্ষণের জন্যই তারা অন্যদের বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আনসার বাহিনীর উৎকর্ষের জন্য তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ বাহিনী আরও যুগোপযোগী ও আধুনিক।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১২ বছরের সময়কালে এ বাহিনীর সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক প্রবর্তন, পারিবারিক রেশন প্রদান, সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন, কর্মকর্তাদের জন্য দ্বিতীয়, তৃতীয় ও ৫ম গ্রেডে পদ সৃজন এবং মহাপরিচালকের পদটি প্রথম গ্রেডে উন্নীতকরণ, অন্যান্য পদের মানোন্নয়ন ও কর্মকর্তাদের বৈশ্বিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন এবং একটি সুসজ্জিত খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.আখতার হোসেন ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, কমান্ড্যান্ট, উপমহাপরিচালক (প্রশাসন), উপমহাপরিচালক (অপারেশনস)সহ সদর দফতর ও একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা প্রশিক্ষকদের উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। ১৫টি ব্যাটালিয়ন সদরে আধুনিক অবকাঠামো গড়ে মডেল ব্যাটালিয়নের রূপ দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়াধীন। বিভিন্ন রেঞ্জ, জেলা-উপজেলায় মডেল রেঞ্জ, জেলা ও উপজেলা অফিস নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাহিনীর সব সদস্যের কল্যাণের জন্য ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য ৪০টি অস্ত্রাগার নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।

৪৪২ জন নবনিযুক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। পরে প্রধান অতিথি কৃতী ও চৌকশ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন। এতে মৌলিক প্রশিক্ষণে মো. সাগর আলী শ্রেষ্ঠ ড্রিল, শরিফুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং মো. গুলজার আলী চৌকশ প্রশিক্ষণার্থী ব্যাটালিয়ন আনসার হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

পুরস্কার প্রদান শেষে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থী নবীন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *