সপ্তাহ না ঘুরতেই মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী বেড়েছে কয়েক গুণ

Slider সারাবিশ্ব


এক সপ্তাহের মধ্যেই মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী সংখ্যা বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। প্রথম দিন কলকাতা থেকে যেখানে মাত্র ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে মৈত্রী এক্সপ্রেস সেখানে সপ্তাহান্তে সেই যাত্রী সংখ্যা এখন প্রায় ২০০। যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রায় ২৬ মাস বন্ধ থাকার পর গত মাসের ২৯ তারিখ ঢাকা থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু করে কলকাতায়। পরদিন সেই মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে মাত্র ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে। অন্যদিকে কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশে বন্ধন এক্সপ্রেস মাত্র ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রওনা করেছিল।

তবে, সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে এই যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। এবার বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনায় যাচ্ছে ৮০ যাত্রী নিয়ে। একইভাবে আগামী সোমবারের মৈত্রী এক্সপ্রেসের শনিবার পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৬০ জনের।

মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসে দুই শ্রেণির টিকিট বিক্রি হচ্ছে। একটি চেয়ার কোচ অন্যটি কুপ বা ফার্স্টক্লাস। কলকাতার পূর্ব রেলের সদর দপ্তরের আন্তর্জাতিক টিকিট কাউন্টারে মিলছে টিকিট। আরামদায়ক ভ্রমণের কারণেই ভিড় বাড়ছে যাত্রীদের।

একজন যাত্রী বলেন, মৈত্রী চালু হওয়ার পর অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। আরেক জন বলেন, মানুষদের যেহেতু চাহিদা বেশি এটি সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন করা দরকার।

সোম-বুধ-শুক্রবার কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস। অন্যদিকে রোববার এবং বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয় বন্ধন এক্সপ্রেস। দুটো ট্রেনের সাড়ে ৪ শতাধিক আসন রয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ হয়ে যায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী সবচেয়ে জনপ্রিয় রেল পরিবহন মৈত্রী এক্সপ্রেস। একই সময় বন্ধ হয়ে যায় কলকাতা-খুলনা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেসও।

কলকাতা থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসে টিকিট কাটতে হলে অবশ্যই আরটিপিসিআর রিপোর্ট দেখাতে হবে এবং থাকতে হবে করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র। দিতে হবে সেল্ফ ডিক্লারেশনও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *