মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ২৯ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। তারা চায়নি বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হোক। তারা পাকিস্তান যেমন একটা ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্র তেমনি আমাদের বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ, অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল।’
সোমবার (২৩ মে) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই আমরা বাঙ্গালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। পৃথিবীর বুকে রোল মডেল হয়েছি। তাদের ২৯ বছরে কী হয়েছে, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার আমলে কী হয়েছে এই চিত্রটা একটু তুলনা করুন।
মন্ত্রী জানান, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মাতারবাড়ী প্রকল্প, সমুদ্র বিজয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারির স্বীকৃতি, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের মাধ্যমে মানবতার নব দিগন্ত উন্মোচন; এসবই বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট, যা যা প্রয়োজন তার সবই দেওয়া হচ্ছে তাদের।
‘বধ্যভূমিগুলোও আমরা সংরক্ষণ করছি। এ ছাড়া যদি কোনও মুক্তিযোদ্ধা মারা যান, তাদের একই রকম ডিজাইনের কবর দেওয়া হবে— যেন ৫০ বছর পরও কবর দেখে বোঝা যায়, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস, জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।