বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর তৎপরতা

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়াতে গণশুনানি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। দুই ক্ষেত্রেই বিইআরসি’র কারিগরি কমিটি দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী শুনানির পরবর্তী তিন মাসের মধ্যেই দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর শুনানির প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে। গতকাল বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর বিষয়ে শুনানি হয়েছে। আপাতদৃশ্যে মনে হচ্ছে গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দিকেই এগোচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ভোক্তা সংগঠনগুলো বলছে, এই মুহূর্তে দাম বাড়ানো হলে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

গতকাল রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানিতে অংশ নিয়ে গ্রাহকরা বিরোধিতা করেন। এই শুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

শুনানিতে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকার ভর্তুকি দিতে চায় কিনা। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বিদ্যমান ভর্তুকি রয়েছে, সরকার তা অব্যাহত রাখতে চায় কিনা, তা জানা দরকার। তবে এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

পাইকারিভাবে বিদ্যুতের দাম ৩ টাকা ৩৯ পয়সা বাড়িয়ে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড

এতদিন সরকার ৩ টাকা ৩৯ পয়সা ভর্তুকি দিয়ে আসছিল। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাব গ্রহণ করলে সরকারের আর ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।
শামসুল আলম জানতে চান, ২০২১-২২ অর্থবছরে পাইকারি বিদ্যুতে আর্থিক ঘাটতি প্রায় ৩০ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। বিদ্যমান পাইকারি মূল্য হার ৫ টাকা ১৭ পয়সা। মূল্য হার ঘাটতি বিবেচনায় নিয়ে পাইকারি বিদ্যুতের রাজস্ব চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে এবং মূল্য হার ৮ টাকা ৫৮ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ঘাটতি সমন্বয়ে সরকারি ভর্তুকি বিবেচনা করা হয়নি। তার মানে যখন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরি করে, তখন সরকার ভর্তুকি দিতে রাজি হয়নি? সরকার কি ভর্তুকি দিতে সম্মত না?

এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, আমাদের যা খরচ, তাই ব্যয় ধরেছি। সরকার চাইলে এতে ভর্তুকি দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। এরপর ক্যাব উপদেষ্টা জানতে চান, প্রস্তাব পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে পাইকারি বিদ্যুৎ সরবরাহের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যয় সংকোচন করে ঘাটতি কমানোর কোনো কৌশল প্রস্তাব করা হয়নি। কেবলমাত্র মূল্য হার বাড়ানোর মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যয় কমিয়ে ঘাটতি কমানোর কী কোনো সুযোগ নেই?

নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুহিউদ্দিন আহমেদ শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে এক পয়সা দাম বাড়ালেও আমরা মানবো না।

শুনানিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ ও ন্যায়সঙ্গতভাবে আদেশ দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা জানেন সারা পৃথিবীব্যাপী একটি অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। একটা পেন্ডামিক শেষ না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ সর্বত্র প্রভাব পড়েছে। আমরাও তার বাইরে না। চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্ন উঠতে পারে গ্যাসের দামের গণশুনানির ঘোষণা না দিয়ে কেন আমরা বিদ্যুতের দামের শুনানি নিচ্ছি। আপনারা জানেন দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারের পলিসি সিদ্ধান্তের বিষয় থাকে, সেটি দালিলিকভাবে প্রমাণের বিষয় থাকে। সেটার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। শেষ হলে গ্যাসের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। কমিশন তার আইনি প্রক্রিয়াগত কারণে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় প্রস্তাবের উপর গণশুনানি নেয়া হচ্ছে। পাইকারি দাম ঘোষণা হলে খুচরার ওপর প্রভাব পড়বে। তাদের কোনো প্রস্তাব আমরা পাইনি। ধরেন আমি বাড়িয়ে দিলাম তখন বিতরণ কোম্পানির সমস্যা হতে পারে এমন প্রশ্ন রাখেন বিপিডিবি’র প্রতি।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বর্তমান দর ইউনিট প্রতি ৫.১৭ টাকা থেকে ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৮.৫৮ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। বিপিডিবি’র এই প্রস্তাব গ্যাসের বর্তমান দর বিবেচনায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে ৯.১৪ টাকা এবং ১২৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেলে ৯.২৭ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে বিইআর টেকনিক্যাল কমিটি ২ দশমিক ৯৯ টাকা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

বিইআরসি সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫.১৭ টাকা নির্ধারণ করে। বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। বিপিডিবি’র পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চাহিদা মতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতে গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২.১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.১৬ টাকায়। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, কয়লার মূসক বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ইউনিট প্রতি উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ৪.২৪ টাকায়। পাইকারি দাম না বাড়লে ২০২২ সালে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোকসান হবে বিপিডিবি’র।
এদিকে গ্যাস প্রসঙ্গে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রত্যেকটিই মুনাফায় রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় জনগণের বাড়তি দাম দেয়ার সামর্থ্য নেই। আর কোম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা হিসাব করে দেখিয়ে দিয়েছি গ্যাসের দাম ১৬ পয়সা কমানো যায়। ২৭শে এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে ক্যাব-এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিগত ২১ থেকে ২৪শে মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবসমূহের ওপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক আয়োজিত গণশুনানি হলো। তাতে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যহার পেট্রোবাংলা ভারিত গড়ে ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। বিইআরসি’র কারিগরি কমিটি ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। ক্যাব ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ (প্রতি ঘনমিটারে ০.১৭ টাকা) কমানোর প্রস্তাব করেছে এবং সকল শ্রেণির ভোক্তাদের জন্য বিদ্যমান মূল্যহার ৯ দশমিক ৬৯ টাকা বহাল রাখতে বলেছে। তবে গ্যাস তছরুপ প্রতিরোধে মাসিক ৭৭ ঘনমিটারের পরিবর্তে ৪০ ঘনমিটার ব্যবহার ধরে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের চুলাপ্রতি গ্যাসের মূল্যহার কমানোর এবং কস্ট প্লাস-এর পরিবর্তে আগামী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জিটিসিএল-এর সঞ্চালন চার্জ ও তিতাসের বিতরণ চার্জ মুনাফা ব্যতীত শুধুমাত্র কস্ট-এর ভিত্তিতে নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে ক্যাব। ‘পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে এসওসি’র (দেশি কোম্পানি) গ্যাস ক্রয় মূল্যহার ৬০ শতাংশের অধিক এবং লাইসেন্সিগণের প্রস্তাবে সঞ্চালন ও বিতরণ চার্জহারযথাক্রমে ১২৯ শতাংশ ও ১২০-৪০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। গণশুনানিতে পেট্রোবাংলাসহ কোনো লাইসেন্সিই তাদের কোনো প্রস্তাব ন্যায্য ও যৌক্তিক বলে প্রমাণ করতে পারেনি। ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যহার ২০ শতাংশ বৃদ্ধির ব্যাপারে কারিগরি কমিটির প্রস্তাবও ন্যায্য ও যৌক্তিক বলে প্রমাণ হয়নি। এরপরও ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আদেশ হবে। বিইআরসি’তে সেই প্রস্তুতি চলছে। ভোক্তারা আশঙ্কা করে, বরাবরের মতো মূল্যবৃদ্ধির আদেশে গণশুনানি ‘প্রহসনে’ পরিণত হবে।’ তিনি বলেন, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের পণ্য আমদানিতে ১,১৯,৩৮,৪৮৫ ডলার পরিমাণ অর্থের কাস্টমস সার্টিফাইড বিল অব এন্ট্রি জমা হয়নি বিধায় ওই পরিমাণ অর্থ রি-গ্যাসিফিকেশন চার্জহার নির্ধারণে সমন্বয় না করা এবং শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগের ওপর ১৮ শতাংশ সুদ প্রদানের পরিবর্তে অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ৭ শতাংশের বেশি সুদ গ্যাসের মূল্যহারে সমন্বয় না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১ সালে এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন এবং পেট্রোবাংলার এলএনজি অপারেশনাল চার্জহার ছিল যথাক্রমে ১.২৭ টাকা ও ০.১৬ টাকা। কারিগরি কমিটি প্রস্তাব করে যথাক্রমে ২.১৭ ও ০.২৯ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই চার্জবৃদ্ধির এমন অসামঞ্জস্য প্রস্তাব ন্যায্য ও যৌক্তিক নয় বিধায় তাতে ক্যাবের আপত্তি রয়েছে। এই আপত্তি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চার্জহার বলবৎ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসময় জ্বালানি অধিকার সুরক্ষায় অসাধু ব্যবসা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ক্যাবের ২৫ দফা গ্যাস খাত সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি রোধে যদি আমরা প্রশাসনিক সমাধান না পাই তাহলে আদালতের মাধ্যমে সমাধান চাইবো।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এখন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সময় নয়। জনজীবন যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জর্জরিত, সে সময় জ্বালানি তেল, গ্যাস অথবা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালা হবে। তিনি বলেন, সরকার যদি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করতে না চায় তাহলে সরকারের যে সংস্থাগুলো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য বিইআরসিতে প্রস্তাব দিয়েছে তা যদি আলোচনা না করে, যৌক্তিকতা বিচার না করেই একটি আদেশ দিয়ে দেয় তাহলে সেটি জনগণের কাজে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের উপর বোঝা চাপিয়ে দিয়ে সবাই লাভবান হতে যাচ্ছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা প্রস্তাব করেছে। তবে ক্যাবের হিসাব মতে এক শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। গ্যাস উন্নয়নের তহবিল নিয়ে ক্যাবের সভাপতি বলেন, যে উদ্দেশ্যে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে, গ্যাস উন্নয়নের তহবিল যেন সেই উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হয়। তাতে জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়বে। ভোক্তা স্বস্তিতে থাকবে।

বিইআরসি’র চেয়ারম্যান আবদুল জলিল গণশুনানিতে বলেছিলেন, গ্যাস খাতের সব সংস্থার কাছে ১২ হাজার কোটি টাকা জমা আছে। সাধারণত মানুষ দুর্যোগে পড়লে শেষ সঞ্চয় ব্যবহার করে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। আবার বিতরণ কোম্পানির মালিক সরকার, তারা কেন প্রস্তাব এনেছে সরকারের সিদ্ধান্ত কিনা, তাদের সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিকতা নিশ্চিত করেই কমিশন আদেশ দেবে। হুমজিক্যালি কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না কমিশন।

২১শে মার্চ থেকে টানা ৪ দিনব্যাপী গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে চরম তোপের মুখে স্বীকার করেন দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব তাদের আগ্রহে হয়নি। পেট্রোবাংলার নির্দেশে ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে পেট্রোবাংলা বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে গেছে স্পর্ট মার্কেট থেকে চড়া দরে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। তাই দাম বাড়াতে হচ্ছে। পেট্রোবাংলার হিসাব মতে সেই স্পর্ট মার্কেটের গ্যাসের পরিমাণ মাত্র ৩ শতাংশ। সামান্য পরিমাণ গ্যাসের দাম বেড়েছে বলে ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে ভোক্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *