রাশিয়ার ‘সম্ভাব্য আগ্রাসন’ থেকে বাঁচতে ফিনল্যান্ড যখন ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তখনই দেশটির সঙ্গে থাকা রুশ সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো শুরু করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার (১৬ মে) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী সামরিক যানগুলো ফিনল্যান্ডের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত রুশ শহর ভায়বর্গে যাচ্ছে। খবর যুক্তরাজ্যের মিরর পত্রিকার।
ফিনল্যান্ড রাশিয়াকে উপেক্ষা করে ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পরপরই এই ফুটেজটি সামনে আসল।
মিরর জানায়, ভিএইসসিকে-ওজিপিইউ নামের চ্যানেলে প্রকাশিত ড্যাশক্যম ভিডিওর সঙ্গে থাকা বার্তায় বলা হয়, সাতটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ফিনিশ সীমান্ত থেকে মাত্র ২৪ মাইল দূরে অবস্থান করছে।
ভিডিওটিতে আরও বলা হয় ‘দেখে মনে হচ্ছে ভায়বর্গে বা পুরো প্রদেশে নতুন একটি সামরিক ইউনিট খোলা হচ্ছে। সবকিছুই নতুন। সামরিক ট্রাকে করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নেওয়া হচ্ছে। ফিনরা ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তৈরি থাকো!
ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়া ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’ এর গবেষক টিমোথি রাইট নিউজউইককে বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নির্ভুলভাবে টার্গেটে গিয়ে আঘাত হেনে তা ধ্বংস করতে সক্ষম।
মিরর জানায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, যদি ন্যাটো সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে বেস স্থাপন করে তাহলে রাশিয়ার নিউক্লিয়ার অস্ত্র বসিয়ে সেটার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
এর আগে ব্রিটেন ও ফিনল্যান্ডকে শয়তান-২ বা আরএস-২৮ সারমাট ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন ডুমা (রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) প্রতিরক্ষা কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আলেক্সি জুরাভলিভ।
শনিবার (১৪ মে) গর্বের সঙ্গে তিনি বলেন, এ অস্ত্রের আঘাতে ২০০ সেকেন্ড অর্থাৎ ৪ মিনিটে ব্রিটেন, আর মাত্র ১০ সেকেন্ডে উড়ে যাবে ফিনল্যান্ড। খবর দ্য গার্ডিয়ান-এর।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন এখন একটি জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে, যারা রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। তারই জবাবে আমরা তাদের ধ্বংস করে দিতে চাই।’