উত্তর কোরিয়ায় করোনা শনাক্তের একদিন পরই মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবশেষ একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
এবার করোনায় ছয়জনের মৃত্যুর খবর দিল উত্তর কোরিয়া
কর্তৃপক্ষ জানায়, মৃত ব্যক্তিরা সবাই করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়ন্টে আক্রান্ত হয়ে জ্বরে ভুগছিল। দেশটিতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় দুই লাখ মানুষ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানানো হয়।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে এক টিভি ভাষণে প্রথমবারের মতো মাস্কও পরতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) করোনা মহামারি শুরুর প্রায় সাড়ে তিন বছর পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় কোভিড শনাক্তের কথা জানা যায়। এরপরপরই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ভাইরাসটির লাগাম টেনে ধরতে দেশজুড়ে জারি করা হয় কঠোর লকডাউন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মিডিয়া জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় সব মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে বলা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া জনগণকে কোনো কোভিড-১৯ টিকা দেয়নি। চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকা ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও দেশটি সাড়া দেয়নি। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পরই তারা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ভেবেছিল, এ পদক্ষেপের মাধ্যমেই দেশে ভাইরাসটির প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও খাদ্য নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর আগে উত্তর কোরিয়া কখনো করোনা আক্রান্তের খবর জানায়নি। উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখেছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৩ মে) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ কোটি ৯৬ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৭ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৮৪ হাজার ৪১১। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৭ কোটি ৪৪ লাখ ৯ হাজার ৯৭ জন।