গ্রাম বাংলা ডেস্ক:
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি বাস ধাক্কা খাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলে ছয়জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও চিকিত্সাধীন অবস্থায় আরও চারজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১৬ জন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর হলেন ঢাকার বিদ্যুত্ ঘোষ (৪০), রমজান আলী (৪০), জামান (৪৫), নির্মল সাহা (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী হেনা সাহা। নিহত আরও দুজন হলেন শরীয়তপুরের প্রসেনজিত্ (৩৪) ও মুন্সিগঞ্জের সালাম (৩০)।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের লাশ ঝিকরগাছা থানায়, একজনের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকি তিনজনের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছয়জনকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত সরকার বলেন, ‘আমি বাসে ঘুমিয়ে ছিলাম। জেগে দেখি পড়ে আছি।’
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনের পরিচয় জানা গেছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
রক্ষা পাওয়া যাত্রীদের বরাতে পুলিশ জানায়, সোহাগ পরিবহনেরর ওই বাসটি ঢাকা থেকে বেনাপোল যাচ্ছিল। বাসটিতে ২৫ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। তাঁদের অধিকাংশ ছিলেন পাসপোর্টধারী। তাঁরা ভারত যাচ্ছিলেন।
আজ ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেআলী মোড়সংলগ্ন এলাকায় যশোর-বেনাপোল সড়কে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি প্রথমে একটি গাছের সঙ্গে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসের ওপরের অংশ উড়ে যায়। পরে আরেকটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় বাসটি।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ উদ্ধারকাজ শুরু করে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
আহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মারা যান। যশোর সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনজন।