ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫

Slider জাতীয়


মহামারি করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের দুই বছর পর চিরচেনা রূপে মুসলিম উম্মার বড় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করেছে দেশবাসী। অনেকটা আনন্দঘন পরিবেশে, করোনা সংক্রমণের ভয় কাটিয়ে ঈদ আনন্দে মেতেছেন। তবে এই আনন্দের মধ্যে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। ঈদের আগে ও পরে মোট পাঁচ দিনে সড়কে প্রাণ গেছে অন্তত ৬৫ জনের।

অনেকের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়েছে প্রিয়জনের মৃত্যুর খবর শুনে। এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রাণ গেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। গত পাঁচ দিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

এ বছর ঈদযাত্রার চেয়ে ঈদে বেড়াতে গিয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ঈদের পরের দিন অর্থাৎ বুধবার (৪ মে)। এদিন সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই উঠতি বয়সী কিশোর ও তরুণ। আর বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ঈদের ছুটির প্রথম দুই দিনে রোববার (১ মে) ও সোমবার (২ মে) সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন করে নিহত হন। এর মধ্যে রোববার (১ মে) বাগেরহাটের ফকিরহাটে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। আহত হন ১৫ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বাস ও ট্রাকের দুই চালক এবং ১০ মাস বয়সী এক শিশু ছিল।

এরপর একদিন বাদে ঈদের দিন মঙ্গলবার এক লাফে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ জনে। এদিন গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হন। এদের মধ্যে দুইজন নারী ছিলেন।

তার পরের দিন বুধবার (৪ মে) সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী–স্ত্রীসহ পাঁচজন নিহত হন।

বুধবার সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস উল্টে দুই যাত্রী নিহত হন। দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসায় পিকআপ ভ্যান ও থ্রি-হুইলারের সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত হন। এরপর বিকেল চারটার দিকে পঞ্চগড়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় তিন কিশোর নিহত হয়। তিনজনই একই মোটরসাইকেলে ছিলেন।

এছাড়া বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৯ জনের। দুজন করে মৃত্যু হয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক ও নারায়ণগঞ্জে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের ৪৮ শতাংশই ছিল মোটরসাইকেলের চালক, নয়তো আরোহী। মোটরসাইকেলের এসব দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে টাঙ্গাইল, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, বরিশাল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুরসহ দেশের আরও কয়েকটি জেলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *