জাতীয় পার্টিতে ‘দেবর-ভাবির’ দ্বন্দ্ব চরমে

Slider রাজনীতি


গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) জাতীয় পার্টির অবৈধ চেয়ারম্যান এমনটাই দাবি করে নিজেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন বিদিশা সিদ্দিক।

কে নিজেকে কী ঘোষণা করেছেন, তাতে জাতীয় পার্টির কিছুই যায়-আসে না এমন কথা জানিয়েছেন জিএম কাদের। বিদিশা ইস্যুতে মাথা ঘামানোর কিছু নেই বলেও মনে করেন তিনি।

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তার ভাই জিএম কাদের। তার নেতৃত্বেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদে টানা দুবার বিরোধী দলের আসনে থাকা দলটি।

অন্যদিকে এরশাদের দ্বিতীয় ও সাবেক স্ত্রী বিদিশা আলাদা প্ল্যাটফর্মে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। বিয়েবিচ্ছেদ এবং চুরির মামলায় জেলে পাঠানোর পর এরশাদের বিষোদ্গার করলেও এখন মৃত স্বামীর আদর্শ বাস্তবায়নে দলকে পুনর্গঠনের কথা বলছেন। এরই মধ্যে জিএম কাদেরকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জিএম কাদের বলেন, বললেই যদি সব হয়ে যেত তাহলে আমি আজকে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দিতে পারতাম…..এ কথা বলে হা হা হা করে হেসে দেন।

তিনি বলেন, রাস্তা থেকে একটা লোক এসে ঘোষণা দিয়ে দিল আজকে আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাহলে সে আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে গেল, নিউজপেপার সেটা নিয়ে কথা বলল, টেলিভিশন সেটা নিয়ে নিউজ করল। এ রকম যদি দেশ চলতে থাকে তাহলে সেখানে আমার কোনো আপত্তি নেই।

বিদিশা বলেন, জিএম কাদেরের যদি মাথাব্যথা না থাকে, তাহলে ওনার মতো উনি রাজনীতি করুক আমি আমার মতো করে রাজনীতি করি। একটা সময় দেখা যাবে কে বৈধ আর কে অবৈধ। কারণ সামনে তো জাতীয় কাউন্সিল আছে, কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

এরিককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিদিশা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায় এমন অভিযোগ জাতীয় পার্টির। একটি মহল তাকে উসকে দিচ্ছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিদিশা।

জিএম কাদের বলেন, রাস্তায় কে কী ঘোষণা দিল এই নিয়ে গণমাধ্যমগুলো আগ্রহ দেখায় এবং জনগণকে ভুল বোঝানোতে সহায়তা করে। এদের প্রতি আমার রাগ নেই বরং আমার মনে করুণা হয়।

বিদিশা বলেন, একটা প্রতিবন্ধী শিশুকে আমি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছি কেন, কারণ হচ্ছে তার বাবার দলটি করার অধিকার কি আমাদের নেই। ওনার (জিএম কাদের) অধিকার আছে, ওনাদের শুধু অধিকার আছে। উনি বারবার শুধু এমপি হবেন, মন্ত্রী হবেন আমাদের কোনো চাওয়া-পাওয়া থাকবে না, আমরা রাজনীতি করতে পারব না।

দেশে ‘দেবর-ভাবির’ এমন দ্বন্দ্ব চরমে উঠলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *