সারা বিশ্বে একইদিনে রোজা-ঈদ চান বিশেষজ্ঞরা

Slider জাতীয়


একই দিনে সারা বিশ্বে রোজা ও ঈদ পালন নিয়ে মতপার্থক্যের অবসান চান বিশেষজ্ঞরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য থাকলেও বিশ্বে যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলেই সে অনুযায়ী রোজা-ঈদ পালন করার ওআইসির সিদ্ধান্ত মেনে চলা উচিত মুসলিম বিশ্বকে।

এক বিশ্ব, একটাই চাঁদ। কিন্তু ভৌগলিক কারণে একেক দেশে দেখা যায় একেক সময় ও একেক দিনে।

চাঁদ দেখে রোজা, চাঁদ দেখেই ঈদ। যেহেতু একেক দেশে একেক সময় চাঁদ দেখা যায় তাহলে রোজা ও ঈদ আলাদা আলাদাভাবে পালন করা হবে নাকি, মুসলিম বিশ্ব একসঙ্গে পালন করবে-এ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন মুসলিম উম্মাহ। যদিও বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে একসঙ্গে রোজা-ঈদ পালনে ১৯৮৬ সালে সিদ্ধান্ত হয় ওআইসি সম্মেলনে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যা মেনে চলে।

অথচ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশে এ নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। যে কারণে রোববার আফগানিস্তানে, সোমবার সৌদি আরবে এবং মঙ্গলবার ঈদ হচ্ছে বাংলাদেশে।

জ্যোতি বিজ্ঞানীদের প্রশ্ন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা হলেও রমজান মাস বা ঈদ কেনো একদিন পর হয়?

জ্যোতিবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী বলেন, এর কোনো কারণ দেখছি না। বাংলাদেশে যখন হরাইজন সেন্টারের দুই ডিগ্রি উপরে থাকে। সূর্য না ডুবলে ওই আলোতে চাঁদ দেখা যায় না।

চাঁদ যেহেতু প্রতি ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা সময়ে তার নিজস্ব পরিক্রমণ শেষ করে। ফলে এক চন্দ্রবছর হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন ৮ ঘণ্টা। সে হিসেবে আরবি মাস কখনও ২৯ দিনে আবার কখনও ৩০ দিনে হওয়ার কথা।

এ প্রশ্ন নিয়ে রয়েছে বিতর্ক, রয়েছে মতবিরোধ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানী বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহেদির রশিদ বলেন, একই সময়ে চাঁদ দেখা নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য হয়। যেহেতু চাঁদ দেখার প্রক্রিয়াটা পৃথিবীর রোটেশনের সঙ্গে দৃশ্যমান হতে থাকে।

সৌর বর্ষের তুলনায় চন্দ্রবর্ষ ১১ দিন কম থাকে আর এ কারণেই চন্দ্র মাস প্রতি বছর ১১ দিন পেছাতে থাকে যে কারণে সৌরসনের সঙ্গে পরের বছরই দেখা যায় চন্দ্রসনের বড় পার্থক্য।

তবে এ বিষয়ে অভিন্ন সিদ্ধান্তে আসা উচিত বলে মনে করেন বিশেজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *