৭৭৬ টাকার বাসভাড়া ১২৫০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ

Slider জাতীয়


প্রিয়জনের সঙ্গে দু-বছর পর ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছে হাজারো মানুষ। এ সুযোগে অনেক পরিবহনের বিরুদ্ধেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠছে।

প্রতিবছর ঈদযাত্রায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় হতো শুধু ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বের হওয়ার মোড় পার হতে। তবে এবার চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। লঞ্চ, ট্রেনে ভোগান্তি থাকলেও অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন সড়কপথের যাত্রীরা। খুব অল্প সময়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকা থেকে বের হতে পারছেন তারা।

তবে বেশির ভাগ পরিবহনের বাসের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। তাই কাউন্টার থেকে অল্পসংখ্যক টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সেগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেক যাত্রী।

রংপুরের পীরগঞ্জে যাবেন মো. ইউসুফ আলী নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) তার প্রতিষ্ঠান তাকে ছুটি দেয়। তাই শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে আসেন তিনি। হানিফ ও শ্যামলীর কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে আহাদ এন্টারপ্রাইজে এসে টিকিট পান তিনি। কিন্তু তার কাছ থেকে টিকিটের দাম রেখেছে ১ হাজার ২৫০ টাকা।

সংবাদমাধ্যমকে ইউসুফ আলী বলেন, ‘বাসভাড়া ৭৭৬ টাকা। এ ছাড়া কাউন্টারে টাঙানো ভাড়ার তালিকায়ও বাসভাড়া ৭৭৬ টাকা লেখা আছে। কিন্তু তারা আমার কাছ থেকে নিল ১ হাজার ২৫০ টাকা। তারা এর কম নেবে না। কী করব, বাড়ি তো যাওয়া লাগবে।’

তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) তার স্ত্রী ও সন্তান গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। শ্যামলী বাসে সেদিন তার স্ত্রী ৭০০ টাকা ভাড়া দিয়ে রংপুরে যান। অথচ আজ সেখানে তাকে সাড়ে ৫০০ টাকা বাড়তি দিয়ে যেতে হচ্ছে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন কুড়িগ্রামের সোহাগ হোসাইন। তিনি অভিযোগ করেন, রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহন তার কাছে ১ হাজার ৩০০ টাকা চেয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর বেশ কিছু টিকিট কাউন্টারে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় বাড়তি ভাড়া রাখায় তারা কয়েকটি পরিবহনকে জরিমানা করে।

এদিন গাবতলী বাস টার্মিনালে পরিদর্শনে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কদের। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে মহাসড়কের অবস্থা ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *