বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে সোমবার ‘টেকসই ও সবুজ ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এ সময় ঢাকায় সফররত ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পর একই স্থানে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে তিন দিনের সফরে সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।
পৌঁছানোর পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন রাজকুমারী।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তার কক্সবাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং মঙ্গলবার সকালে ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিলের (ডিআরসি) ব্রিফিংয়ে যোগ দেবেন।
রাজকুমারী কক্সবাজার শহর থেকে গাড়িতে করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন এবং ক্যাম্প ৫-এ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে মাটি ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ ও ডিআরসি-এর পরিবেশ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।
রাজকুমারী একটি খোলা শেডে ৮-১০ জন রোহিঙ্গা সুবিধাভোগীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখানে গাছ লাগাবেন তিনি। মেরি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথেও কথা বলবেন।
কক্সবাজার থেকে বুধবার সকালে তিনি সাতক্ষীরা যাবেন এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সাথে দেখা করতে কুলতী গ্রামে যাবেন।
রাজকুমারী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকার জনপদে ঘুরবেন এবং ওই এলাকার সাইক্লোন সেন্টার ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করবেন। সেখানে তিনি বাঁধের পাশে বসবাস করা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন।
বুধবার রাতে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে রাজকুমারীর।