শিক্ষিকাকে স্কুলেই ধর্ষণ করলো ছাত্রলীগ নেতা

Slider নারী ও শিশু

16118

ভোলার মনপুরা উপজেলায় স্কুল চলাকালীন লাইব্রেরিতে আটকে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেছে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনাম আহমেদ। এ ঘটনায় ওই স্কুল শিক্ষিকা বিচার পেতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে সোমবার মনপুরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

এদিকে, ঘটনাটি
ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন সাবেক ইউপি সদস্য ও অভিযুক্ত ধর্ষক এনাম আহমেদের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। নির্যাতিত শিক্ষিকা দাবি করেছেন, ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হলে এনাম আত্মগোপনে চলে যায়। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হুমকি দিচ্ছে। গেলো ৩১ মার্চ সকাল সোয়া নয়টার দিকে ওই স্কুলের লাইব্রেরিতে এ ঘটনা ঘটে। চার নম্বর দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হারিছ-রোকেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষিকা জানান, অন্যান্য দিনের মতো ৩১ মার্চ সকাল নয়টার দিকে তিনি স্কুলে প্রবেশ করে শিক্ষকদের বসার নির্ধারিত কক্ষ (লাইব্রেরি) খুলে বসেন।

ওই সময় এনাম কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ দরজা আটকে দেয় এবং তাকে ধর্ষণ করে। প্রথমাবস্থায় তিনি চিৎকার দিলে কেউ শুনতে পায়নি। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি করে বের হয়ে বাইরে এসে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। ততক্ষণে ছাত্রলীগ নেতা এনাম ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্কুলের প্রধানশিক্ষক মো. সফিউদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন আমি স্কুলে ছিলাম না। তখন আমি মার্কার স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ে ছিলাম।

ওই শিক্ষিকার বরাত দিয়ে সফিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, স্কুলের সিঁড়ির রুম দখল করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করে আসছিল এনাম। তিনি ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় আমরা তার ক্ষমতার কাছে জিম্মি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *