ঢাকা: আবারো শুরু হয়েছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্যাম্পাসের ভেতরে শিক্ষকদের মিটিং রুমের পাশে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১০ জনেরও বেশি শিক্ষক আহত হয়েছেন।
এদিকে শিক্ষকরাও হল বন্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের রুমে আহত শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা এ সময় কলেজের হল বন্ধের প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
উল্লেখ্য, কিছু সময় আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ আগামী ৫ মে পর্যন্ত ঢাকা কলেজের হলগুলো বন্ধের ঘোষণা দেয়।
ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষে আহত ৫০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
ব্যবসায়ীদের সাথে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের ক্যাম্পাসের ভেতর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রেডক্রিসেন্ট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে সকালে নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় ব্যবসায়ীদের সাথে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং এসএ টিভির ক্যামেরাম্যান কবির হোসেন, দীপ্ত টিভির রিপোর্টার সুমিতসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।
সমস্যা মেটাতে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ইট-পাটকেল ছুঁড়ে ব্যবসায়ীরা।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ টি এম মঈনুল হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে সমস্যাটা মেটানো যায়। তবে মার্কেটে ভিড়ের জন্য সামনের দিকে যেতে পারিনি। আমরা এখন পুলিশ প্রসাশনের সাথে কথা বলব। প্রসাশনিক যে তৎপরতা আছে, সেটা চেষ্টা করব। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কথা শোনানোর চেষ্টা করছি আমরা। এ ঘটনায় কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে দোকানে কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ তিন ঘণ্টা ধরে চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।