বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব কয়েক দিন ধরেই নিম্নমুখী। তবে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্ত কমেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। এ ছাড়া শনাক্ত আরও কমেছে। এ সময় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯০ জন। মারা যান ১ হাজার ২৬৩ জন।
এর আগের দিন সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৩ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৪ জন। তার আগে রোববার (১৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হন ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯২৪ জন। মারা যান ১ হাজার ৫৯৩ জন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ কোটি ৫২ লাখ ৯ হাজার ৪৩৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬০৪ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৮ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৫৬ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ১৫ হাজার ৭৯০ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ৪২১ জন সংক্রমিত। মৃত্যু ৫ লাখ ২১ হাজার ৯৯৬ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ৮৮ জন এবং মোট মৃত্যু ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৬ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৩৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৪৪ হাজার ২০৫ জন।
পঞ্চম স্থানে উঠে আসা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত ২ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৭ জন।
আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪২তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।