বাংলাদেশ সফররত বাইডেনের দূত রাশাদ কোরআনে হাফেজ!

Slider সারাদেশ

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত রাশাদ হোসাইন। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ওই পদে (প্রথম কোনো মুসলিম হিসেবে) ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রাশাদকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ৮৫-৫ ভোটে ওই পদের জন্য রাশাদকে মনোনয়নের প্রস্তাব অনুমোদন করে।

অনেকেই জানেন, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনেও তিনি (ওআইসিতে ওবামার বিশেষ দূত সহ) গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু, অনেকেই হয়তো জানেন না, রাশাদ একজন কোরআনে হাফেজ।

বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর ২০১০ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওবামা আগের বছর (২০০৯) জুনে মিশরের কায়রোতে দেয়া এক ভাষণে জানান যে, রাশাদ কোরআনে হাফেজ। রাশাদকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়াতে বিরোধী পক্ষের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছিল ওবামাকে। কিন্তু, ওবামা বরাবরই রাশাদকে তার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে গেছেন।

২০১০ সালে ভারতীয় নিউজ পোর্টাল রেডিফের এক প্রতিবেদনে রাশাদ নিজ ধর্মের কারণে কিভাবে নিজের কাজে বাধা পাচ্ছেন তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ইউএস-ইসলামিক ওয়ার্ল্ড ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রাশাদ। ওই অনুষ্ঠানে ওবামা ভিডিও কনফারেন্সে রাশাদকে ‘দক্ষ আইনজীবী এবং হোয়াইট হাউসের কর্মীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত সদস্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

এক পর্যায়ে ওবামা বলেন, কুরআনে হাফেজ হিসেবে তিনি আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির একজন সম্মানিত সদস্য এবং এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।

উল্লেখ্য, রাশাদ হোসাইন বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।
জর্জ টাউন ল সেন্টার, জর্জটাউন স্কুল অব ফরেন সার্ভিসে তিনি এডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে শিক্ষাদান করেছেন। তিনি উর্দু, আরবি এবং স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *