২১ বছর ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিলেন রমনা বটমূলে বোমাহামলাকারী শফিকুর

Slider বাংলার আদালত


রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। বিগত ২১ বছর ধরে নিজের নাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে নিজেকে লুকিয়ে রাখেন পলাতক এই আসামি।

বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তি হলেন – মুফতি শফিকুর রহমান ওরফে আব্দুল করিম ওরফে শফিকুল ইসলাম (৬১)।

র‌্যাব সদর দফতরের এএসপি (মিডিয়া) ইমরান খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তি হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য জানিয়েছেন।

মুফতি শফিকুর জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি ১৯৮৭ সালে করাচির ইউসুফ বিন নুরি মাদরাসায় পড়তে গিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামি সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদের প্রধান মুফতি হান্নানের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

পাকিস্তান থেকে পরবর্তীতে আফগানিস্তানে যাওয়ার সময় তিনি ওই সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরে তিনি ‘হরকাত-উল-জিহাদ (বি)’ গঠন করেন।

১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি ওই সংগঠনের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি দলটির আমির ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি হরকাত-উল-জিহাদের শূরার সদস্য ছিলেন।

র‌্যাব আরো জানায়, তিনি ২০০১ সালের পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২৭ জানুয়ারি ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন।

রমনার বটমূলে হামলার পর ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি গোপনে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরপর ২০০৮ সাল থেকে নরসিংদীর একটি মাদরাসায় অবস্থান করে আত্মগোপন করেন।
নরসিংদীতে থাকাকালীন আব্দুল করিম ছদ্মনাম ব্যবহার করে স্থানীয় একটি মসজিদে পাঁচ হাজার টাকা বেতনে ইমামের কাজ করতেন।

এএসপি ইমরান খান জানান, বিভিন্ন জায়গায় পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতেন তিনি। ‘গ্রেফতার ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *