কত তারিখের মধ্যে জিততে চায় রাশিয়া, জানালেন ইউরোপীয় কর্মকর্তারা

Slider সারাবিশ্ব


ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধাবস্থায় ৯ মে নাগাদ জয়ী হতে চায় রাশিয়া। ইউরোপিয়ান কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন সিএনএনের প্রতিনিধি ওরেন লিবারম্যানকে।
অন্তত দুইজন ইউরোপীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মনে করেন রাশিয়া তার নিজের প্রতি একধরনের চাপ অনুভব করছে যার ফলস্বরূপ ৯ মে নাগাদ তারা জয়ী হতে চায়। ৯ মে’তে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়া জার্মানির সঙ্গে জয় লাভ করে। -সিএনএন।

রাশিয়া এদিন (৯ মে) বিজয় দিবস উদযাপন করে এবং রেড স্কয়ারে সামরিক প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসময় ভাষণ দেন।

যখন বিজয় দিবসের মাত্র একমাস বাকি আছে তখন রাশিয়া তার সামরিক বাহিনীর দলগুলোকে পুনর্গঠিত করে দক্ষিণপূর্ব ইউক্রেনের দিকে ধাবিত করছে। ইউক্রেনের বড় অংশগুলো দখল করার চেয়েও প্রাদেশিক বিজয়ে আগ্রহী রাশিয়া।

এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, রুশরা শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং এই পর্যায়ে তারা বলার মতো কিছু একটা চায়।

তারা আরও জানান, সময়ের এই চাপ রাশিয়ান সৈন্যদের ভুল করার সম্ভাবনা বাড়াবে। তারা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। দ্বিতীয় কর্মকর্তা আরও বলেন, রাজনৈতিক এই সময়সীমার চাপে সামরিক দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে পুতিন বলেন, ইইউ ও ন্যাটো সীমা লঙ্ঘন করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত রুশ বাহিনী থামবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সিএনএনের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার হামলার শঙ্কায় নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোল্যান্ড।

এ ছাড়া রুশ হামলার জবাব দিতে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ হাঙ্গেরিতে ৮০০, রোমানিয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার, বুলগেরিয়ায় ৯০০, স্লোভেনিয়ায় দুই হাজারের বেশি ও বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোতে মোট ৪০ হাজার ন্যাটো সেনাকে যুদ্ধ জাহাজ, কামান, গোলাবারুদ, যুদ্ধ বিমানসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। এর পরই ইউক্রেনে অভিযান থামবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।

এদিকে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া আরও আগ্রাসী ও হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ন্যাটো প্রধান স্টলটেনবার্গ। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনী আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠবে এবং নতুন সমরাস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার সেনারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে দনবাস হয়ে অধিকৃত ক্রিমিয়া পর্যন্ত ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *