পাকিস্তানে এবার অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হল খোদ স্পিকারের বিরুদ্ধেই। রোববার (৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার আগেই স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়।
এদিন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ’র (পিএমএল-এন) মুর্তাজা জাভেদ আব্বাসির নেতৃত্বে স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন বিরোধী দলগুলোর আইপ্রণেতারা।
পিএমএল-এন’র আইনপ্রণেতা আয়াজ সাদিক ও খুরশিদ শাহ, পাকিস্তান পিপল’স পার্টি’র (পিপিপি) নাভিদ কামার এবং জেইউআই-এফ’র শাহিদা আখতার আলীসহ বিরোধীদলগুলোর ১০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতা অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন।
অনাস্থা প্রস্তাবের নথির একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারপার্সন বিলওয়াল ভুট্টো। একই ছবি পোস্ট করেছেন আরেক নেতা আসিফ আলী জারদারি। ছবিটি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও স্পিকার আসাদ কায়সারকে ট্যাগ করেছেন তারা।
অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রায় এক মাস পর রোববার পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এ নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। ইমরান খানকে উৎখাত করতে এদিন আটঘাট বেঁধেই পার্লামেন্ট নিয়ে এসেছিল বিরোধীরা।
কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাবটি খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার কাশিম সুরি। অনাস্থা প্রস্তাবটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনও মুলতবি করেছেন।
এ ঘটনার পর জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পর আপাতত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ রক্ষা করলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। ওই প্রস্তাবের ওপর পরের ৯ মার্চ ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় পরিষদের একজন সদস্যের মৃত্যুর কারণে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবির ঘোষণা দেন স্পিকার আসাদ কায়সার।