দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও বাংলাদেশকে উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা এ দেশকে মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। চলমান উন্নয়নে যাতে ব্যত্যয় না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বুধবার (৩০ মার্চ) বিএসএমএমইউয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নের মূলে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু আর এ উন্নয়নের প্রধান কারিগর হলেন তারই সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু সাম্য ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন, শেখ হাসিনার মধ্যেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। বঙ্গবন্ধুর ঠিকানা হলো মানুষ ও বাঙালি। তিনি মানুষকে ভীষণ ভালোবাসতেন। জনতার ভালোবাসাই ছিল তার প্রধান সম্পদ। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য তার দরদ ছিল অপরিসীম। তিনি বাঙালিদের প্রচণ্ড বিশ্বাস করতেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আমাদের বিপদে-আপদে বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কাছেই ফিরে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ শুধু দেশেরই নয়, বিশ্বের সেরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতে উন্নীত হয়েছে। আমি মনে করি, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে আরোগ্যলাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ে হেলথ সেক্রেটারি করা হয়েছিল একজন চিকিৎসককে। ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছিল একজন শিক্ষাবিদকে দিয়ে। যার যে অভিজ্ঞতা আমরা যদি সেভাবে তাদের কাজে লাগাতে পারি, তাহলে প্রত্যেক সেক্টরেই আমরা উন্নত হতে পারবো। মন্ত্রণালয়ের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টিম করা হলে ভালো হয়। মন্ত্রীসহ কর্তাব্যক্তিরা যদি তাদের পরামর্শ মতো কাজ করেন, তাহলে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। করোনার সময়ে সাউথ এশিয়াতে বাংলাদেশ প্রথম এবং সারাবিশ্বে ২৬তম অবস্থান, এটি কিন্তু এমনিতেই হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় চিকিৎসকরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। একদিনে এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার ইতিহাস বিশ্বের কোথাও নেই। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো, তিনি করোনা টিকায়ও সেটি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন। আর তার বদৌলতে আমরা করোনা সংক্রমণমুক্ত বাংলাদেশের প্রায় দারপ্রান্তে।
সভায় বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. এ এইচএম জুহুরুল হক সাচ্চু, ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইশতিয়াক আজমেদ শামীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান।