লিবিয়ায় গিয়ে সাংবাদিক জাহিদুর রহমান ও বাংলাদেশি প্রকৌশলী নিখোঁজ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

লিবিয়ায় গিয়ে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন এনটিভির সাংবাদিক জাহিদুর রহমান। তার সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছেন লিবিয়ায় থাকা বাংলাদেশি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও গাড়িচালক মোহাম্মদ খালেদ। রাজধানী ত্রিপোলি থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করছে জাহিদের পরিবার। এদিকে, প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের পরিবারের ধারণা, লিবিয়ার সরকারের বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ধরে নিয়ে যেতে পারে। ত্রিপোলিতে মিলিশিয়া বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কম বলেও জানান তাঁরা। সাংবাদিক জাহিদুর রহমান এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

জাহিদুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা রহমান জানান, গত ২১শে মার্চ লিবিয়ায় যান জাহিদ। পরে ২৩শে মার্চ পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। এরপর থেকেই তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রথম দিকে তাঁর পরিবার বিষয়টি বুঝতে না পারলেও পরে অনেকেই জানান, তাঁরাও জাহিদুরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

তাসলিমা বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরা এনটিভিকে জানিয়েছি। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে জানিয়েছি। পরে প্রতিমন্ত্রী জানান, জাহিদুর কোরিনথিয়া নামের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। কিন্তু, সে হোটেলেও তিনি ফেরেননি। আমার একটাই আবেদন আমার স্বামীকে আমাদের কাছে ফিরে আসুক।’

জাহিদুরের স্ত্রী আরও জানান, এ ঘটনা নিয়ে পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। এরপর জানা যায়, জাহিদুর রহমানকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তা জানা যায়নি।

লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান জানিয়েছেন, প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল, কোনো সরকারি সংস্থা তাঁদের ধরে নিয়ে গেছে। তবে, এখন মনে করা হচ্ছে মিলিশিয়া গোষ্ঠীও ধরে নিয়ে যেতে পারে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ত্রিপোলিতে সাংবাদিক জাহিদুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় ছবি তুলছিলেন। এখানে ছবি তোলা নিষেধ। এটি একটি বড় কারণ। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩রা মার্চ তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রথমে লন্ডনে যান জাহিদুর। সেখান থেকে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডে যান তিনি। এরপর ২১ মার্চ তিনি লিবিয়ায় পৌঁছান। লন্ডন থেকে জাহিদুর রহমানের একাধিক প্রতিবেদন এনটিভিতে প্রচার হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *