রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই নগরীটি দেশটির জ্বালানি উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
রাশিয়ার ট্যাঙ্ক ও পদাতিক বাহিনী বৃহস্পতিবার নিপার নদীর প্রান্তবর্তী নগরী এনারহোদারে প্রবেশ করেছে। এখানে ইউক্রেনের এক চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
মেয়র দিমিত্রো ওরলোভ বলেন, রুশ বহরটি নগরীর দিকে আসছে। তিনি বাড়িঘর ত্যাগ না করার জন্য নগরবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রুশ পদাতিক বাহিনীর সৈন্যরা এনাহোদা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জ্যাপোরিঝজিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের দিকে এগুচ্ছে।
সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফাল ম্যারিয়ানো গ্রোসি বলেন, পরিস্থিতি গুরুতর। তিনি স্থাপনাটির কাছাকাছি এলাকায় সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনার প্রেক্ষাপটে এ খবর পাওয়া গেল। আলোচনায় দুই পক্ষ নাগরিকদের সরিয়ে নিতে ও মানবিক সহায়তা দিতে একটি নিরাপদ করিডোর খুলতে একমত হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দক্ষিণে মস্কোর লক্ষ্য ইউক্রেনকে কৃষ্ণ ও আজভ সাগর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফলা। এর ফলে ক্রিমিয়ার সাথে স্থল করিডোর নির্মাণ করতে পারবে রাশিয়া। রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়।
বন্দরনগরী খেরসনের প্রশাসনিক ভবন ‘পুরোপুরি’ রুশ নিয়ন্ত্রণে
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী খেরসনের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
খেরসনের আঞ্চলিক প্রশাসনিক ভবনটি রুশ বাহিনী সম্পূর্ণরূপে দখল করে নিয়েছে– এক ফেসবুকে পোস্টে জানিয়েছেন প্রাদেশিক প্রশাসনের প্রধান হেনাডলি লাহুতা।
এটিই হচ্ছে রুশ বাহিনীর দখলে চলে যাওয়া প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনীয় শহর।
সূত্র : আল জাজিরা ও বিবিসি