ইউক্রেন সংকটে ছয় লাখ ৬০ হাজারের বেশি শরণার্থী

Slider সারাবিশ্ব

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ছয় লাখ ৬০ হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এমন দাবি করেছে।
ইউক্রেন সংকটে ছয় লাখ ৬০ হাজারের বেশি শরণার্থী
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র শাবিয়া মান্তো বলেন, দেখা গেছে পোল্যান্ডে ঢুকতে ৬০ ঘণ্টা ধরেও মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এছাড়া রোমানিয়া সীমান্তে ২০ কিমি দীর্ঘ মানুষের লাইন দেখা গেছে।

স্বাভাবিক সময়ে পুরনো কিয়েভের ছাদগুলোতে অকৃত্রিম সাদা তুষারে ঢেকে যাওয়া দেখে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যেত। কিন্তু এখন সেই ইউক্রেনের রাজধানীতে মানুষের হতাশার তালিকা দীর্ঘ। রুশ আগ্রাসনে হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়ির ভূগর্ভস্থ অংশ আশ্রয় নিয়েছেন।

তাদের কাছে প্রচণ্ড শীতেও শরীরে তাপ দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ভবনের নিচের কারপার্কে তারা জড়োসড়ো হয়ে আতঙ্ক নিয়ে থাকছেন। তাদের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্যে কী আছে; তা জানা নেই।

শহরের পাতাল রেলেও মানুষের ভিড়। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আর বোমা থেকে বাঁচতে তারা সেখানে জড়ো হয়েছেন। এরপরেই নেমে এসেছে শীত। গত দুসপ্তাহে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠানামা করছে। এর মধ্যেই লাখ লাখ মানুষ নিজ ভূখণ্ড ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন।

যুদ্ধের প্রথম পাঁচ দিনে পাঁচ হাজার ৭১০ রুশ সেনা নিহত হওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার (১ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টে দেশটির সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে দুই শতাধিক রুশ সেনাকে বন্দি করা হয়েছে।

এছাড়াও রাশিয়ার ১৯৮টি রুশ ট্যাংক, ২৯টি প্লেন, ৮৪৬টি সাঁজোয়া যান ও ২৯টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে।

তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *