ইউক্রেনের জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে মনে করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর জেলেনস্কি যেভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার প্রশংসা করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, বৃটেন ও তার মিত্রদের কাছ থেকে যেন ইউক্রেনে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তা পৌঁছে, তা নিশ্চিত করা হবে। এ নিয়ে একটি টুইট করেছেন জেলেনস্কি। এতে তিনি লিখেছেন, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুজার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললাম। ‘আগ্রাসী’ বাহিনীকে থামাতে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হয়েছি আমরা। যুদ্ধবিরোধী জোট এখন সক্রিয়।
এদিকে ইউক্রেনে অব্যাহত রয়েছে রুশ আগ্রাসন।
সোমবার সকালেও রাজধানী কিয়েভ ও অন্যতম প্রধান শহর খারকিভে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। উভয় পক্ষ আলোচনায় সম্মত হলেও সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। নতুন করে হামলা হয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে। সেখানে বেসামরিক ভবনে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রোববারকে কঠিন দিন বলে আখ্যায়িত করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রুশ সেনারা চারদিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার আক্রমনে এখন পর্যন্ত ৩৫২ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৪ শিশুও রয়েছে। এছাড়া ১১৬ শিশুসহ মোট ১ হাজার ৬৮৪ জন আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, বেলারুশ থেকেও ইউক্রেনের অভ্যন্তরে সৈন্য পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। কিয়েভ ইনডেপেন্ডেন্ট অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাশিয়াকে সহায়তায় বেলারুশ থেকে অভিযান পরিচালিত হবে। মার্কিন সরকারের এক কর্মকর্তাও ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান। তিনি বলেন, এটি এখন স্পষ্ট যে বেলারুশ এখন রাশিয়ারই একটি অংশ হয়ে কাজ করছে।
এর আগে বেলারুশে রুশ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের জন্য ভোট আয়োজিত হয়। এর ফলে দেশটিতে স্থায়ীভাবে রুশ সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করা যাবে। বেলারুশের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটে অংশ নেয়াদের ৬৫.২ শতাংশ অস্ত্র মোতায়েনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ১০.০৭ শতাংশ। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বেলারুশ তার ভূমিতে থাকা সকল পারমাণবিক অস্ত্র ফেরত দিয়েছিল। নতুক করে সংবিধান পরিবর্তন করায় আবারও দেশটিতে মোতায়েন করা হতে পারে এই অস্ত্র।