বরিশালের গৌরনদীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় এক বিএনপি নেতার বসত ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। হামলা-সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। শুক্রবার দুপুরে ওই উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বার্থী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বার্থী ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিম লস্করের ভাই কাদের লস্করের পুকুর পাড়ে যাতায়াতের পথে নির্মিত বেড়া করিম লস্কর শুক্রবার সকালে সরিয়ে ফেলে। এর জের ধরে স্থানীয় বিএনপি কর্মী মজিবর বেপারীর সাথে করিম সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মী রানা হাওলাদারের বাগবিতণ্ডা হয়।
এ সময় মজিবর বেপারী ও তার চাচাতো ভাই রিপন বেপারীর নেতৃত্বে শুক্রবার দুপুরে করিম লস্করের সমর্থক মিনি বেগমকে (৪০) বেদম মারধর করা হয়। এর জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা আজিজ ফকিরের নেতৃত্বে করিমের সমর্থকদের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ছালাম সরদার, ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বক্তিয়ার পাহোলান ও ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ সরদারকে পিটিয়ে আহত করে। পরে প্রতিপক্ষের লোকজনও তাদের উপর হামলা চালায়।
এতে করিমের স্ত্রী রিনা বেগম, মিনি বেগম, রানা হাওলাদার, সাদ্দাম হাওলাদার, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী লাবনী আক্তার, বিএনপি নেতা আজিজ ফকির, বিএনপি কর্মী শাহজাহান ফকির, রনি ফকির, রিপন বেপারী, জোলেখা বেগম, হামিদা বেগম, লাকি বেগমসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। সংঘর্ষের সময় বিএনপি নেতা আজিজ ফকিরের বসত ঘর ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষের পর আহতদের মধ্যে বিএনপি’র ২ নেতাকর্মীকে বরিশাল শেবাচিমে এবং আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মীকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বার্থী এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।