খোকা-মান্নার ফোনালাপের প্রসঙ্গ টেনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, তাদের দু’চার কথা আপত্তিকর মনে হতেই পারে। কিন্তু এমন আলাপ এখন ঘরে-বাইরে সবাই করছে। গভীররাতে উঠিয়ে নিয়ে ২০-২২ ঘণ্টা কাউকে আড়ালে রাখা নাগরিক অধিকার হত্যার সামিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোর্টে নেয়ার আগে একদিন এভাবে লুকিয়ে রাখা কি মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়? মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের অবস্থানের ৩৩তম দিনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের সমালোচনা করে বলেন, তারা যেভাবে বড়দের অসম্মান করে চলেছেন তাতে ভাবীকাল তাদের বাঙালীর সভ্যতার ধারক-বাহক হিসেবে স্বীকার করবে না। কৃষ্টি-সভ্যতা, আচার-ব্যবহার, বড়কে সম্মান, ছোটকে আদর ভালবাসা করা বাঙালীর হাজার বছরের গর্ব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তারা দুঃসময়ে জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে না দিয়ে যন্ত্রণাক্লিষ্ট জাতির বেদনানাশে ভূমিকা নিতে পারতেন।
দেশের চলমান সঙ্কটে দুই প্রধান দলের দুই নেত্রীকে উদ্যোগ নেয়ার দাবিতে গত ২৮শে জানুয়ারী থেকে কাদের সিদ্দিকী ফুটপাতে অবস্থান করে আসছেন। এ কর্মসূচিতে তার সঙ্গে রয়েছেন দলের যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন, যুব আন্দোলনের আহবায়ক হাবিবুন নবী সোহেল, মঈনুদ্দিন উজ্জ্বল, ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ, বিল্লাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম শিমুলসহ শতাধিক নেতাকর্মী।