আমরণ অনশনে শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী

Slider শিক্ষা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসলেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১৫ জন ছাত্র ও ৯ জন ছাত্রী রয়েছেন।
আমরণ অনশনে শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে তারা উপাচার্যের বাসভবনে প্রবশের মূল ফটকের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। অন্যথায় আমরণ অনশনে যাওয়ার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের করা নানা মন্তব্যকে ‘অশালীন’ দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকরা।

বুধবার সকাল ১১টা থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের নিয়ে কূরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার কারণে তারা এ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষক। আমরা সম্মানের জন্য কাজ করি এবং সম্মানের জন্যই এ পেশায় এসেছি। আমরা চাষা-ভুষা নই যে, আমাদের যা খুশি তাই বলবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। সেই বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আমরা ২০২২ সালে এসে কেন এ অপমানের শিকার হবো। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা কেমন শিক্ষার্থী তৈরি করছি যে, আমাদের নিয়ে যা খুশি তাই বলবে।

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আমরা জানি না। এ হামলা কে বা কারা করেছে এটি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। রাষ্ট্র এ তদন্তের কাজ করতে পারে। অবস্থান কর্মসূচিতে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একটি কুশপুত্তলিকা তৈরি করেছেন। বাঁশ, পাটের বস্তা ও সোলা দিয়ে বানানো কুশপুত্তলিকাটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রাখা হয়েছে।

কুশপুত্তলিকার মাথার অংশে রয়েছে উপাচার্যের ছবি। তার মাথায় দৈত্যের মতো দুটি শিং রয়েছে। কুশপুত্তলিকার ডান হাতে প্রতীকী পিস্তল এবং অন্য হাতে টাকার ব্যাগ রয়েছে। এর মাঝের অংশে তিনশ’ কোটি টাকা লেখা রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা কুশপুত্তলিকাটি তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি আরেকটি বড় প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে লেখা রয়েছে- ‘হীরক ভিসির শেষে’। তাতে হীরক রাজার যেমন পতন হয়েছিল, তেমন ইঙ্গিত দিয়ে ছবি আঁকা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *