মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে রাস্তায় বাবা-মা

Slider নারী ও শিশু

রাজশাহীর দুর্গাপুরে মেহেরুন (১৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ এনে স্বামীর শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন নিহতের বাবা-মা। মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন মেহেরুনের স্বজনরাও।

সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার জয়কৃঞ্চপুর চেতনার মোড়ে দুর্গাপুর-শিবপুর প্রধান সড়কে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে স্বামী তৌফিকুল ইসলাম হিমেল মেহেরুনকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তার বাবা-মায়ের। এ ঘটনায় হিমেলের শাস্তি দাবি করেন তারা।

মানববন্ধনে নিহত মেহেরুনের পিতা মাহাবুর রহমান, মা লাইলি বেগম, ভাই মো. সম্রাট, চাচাতো ভাই হাসিবুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান, প্রবীণ ব্যক্তি সাজিদুর রহমান এবং এলাকার শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।

মানববন্ধনে নিহতের পিতা মাহাবুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করত মেয়ের জামাই হিমেল। যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। সবশেষ গত ১০ জানুয়ারি আমার মেয়েকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধে হত্যার করে। এরপর ভর্তি করে হাসপাতালে। তবে মেডিকেলের মেঝেতে রেখে সে পালিয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই।’

মেহেরুনের ভাই মো. সম্রাট বলেন, ‘বোনের বিয়েতে প্রায় ১০ লাখ টাকার গহনা ও জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া দুই লাখ টাকা যৌতুক দিতে হয়েছে মাদকাসক্ত হিমেলকে। সে আগে দুটি হত্যা মামলা ও মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত আসামি। গ্রেফতার হয়েছিল একাধিকার। আমরা দুর্গাপুর থানায় গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে।’

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাশমত আলী বলেন, ‘থানায় অভিযোগ না করে মানববন্ধন করলে আমার কি করার আছে। কয়েকদিন আগে ভিকটিম আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্বজনরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার চিকিৎসা চলা অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ভিকটিমের ময়নাতদন্ত হয়েছে। যদি ময়নাতদন্তে হত্যা প্রমাণিত হয়, তাহলে স্বজনরা না চাইলেও মামলা হবে। এছাড়া নিহতের স্বজনরা চাইলে থানায় এসে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলাও করতে পারবেন। কিন্তু থানায় তারা কোনো যোগাযোগ করেনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *