যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন হারিছ চৌধুরী

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে মারা গেছেন। বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন হারিছ চৌধুরীর দুজন নিকটাত্মীয়। হারিছ চৌধুরীর আত্মীয় ও কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন মানবজমিনকে জানান, আমরা শুনেছি, কয়েক মাস আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি দেশের বাইরে মারা গেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে হারিছ চৌধুরী ও তাঁর ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন’। এরপর থেকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরাসহ অনেকে মন্তব্যের ঘরে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

আশিক উদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে যুক্তরাজ্যে হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর দাফন যুক্তরাজ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
আশিক চৌধুরী বলেন, যে সময় তিনি মারা যান, আমি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলাম।
চাচাতো ভাই মারা যাওয়ার বিষয়টি মুঠোফোনে জানতে পারি। হারিছ চৌধুরীর স্ত্রী জোসনা আরা চৌধুরী, ছেলে নায়েম শাফি চৌধুরী ও মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সিলেটের কানাইঘাটের দিঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের দর্পনগর গ্রামে হারিছ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি। বাড়িতে কেউ থাকেন না।’

আশিক উদ্দিন চৌধুরী জানান, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেপ্টেম্বর মাসের দিকে তিনি যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এত দিন দেরিতে মৃত্যুর খবর প্রকাশের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা জিজ্ঞেস করেন, তাঁদের বিষয়টি জানিয়েছি। হারিছ চৌধুরীর খোঁজ-খবর রাখার মতো কেউ নেই। এ জন্য বিষয়টি এত দিন জানাজানি হয়নি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর যাবজ্জীবন সাজা হয়। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হারিছ চৌধুরীর ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায়ও তিনি আসামি ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *