পুরোদমে ক্লাসে ফিরতে মার্চ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ: দীপু মনি

Slider শিক্ষা


নতুন শিক্ষাবর্ষে পুরোদমে ক্লাস শুরু করতে আগামী মার্চ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অগ্রগতি দেখতে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৌসুমি প্রেস পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের বই উৎসব নিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া না হলেও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে যাবে। এই বছরেও বই উৎসব করার মতো অবস্থা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কাজেই সব স্কুল ক্লাস ধরে ধরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করবে। সেই বিতরণের নিয়মে কোনো সমস্যা হবে না। শিক্ষার্থীরা সবাই হাতে বই পেয়ে যাবে।

২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিচ্ছে সরকার। ১১ বছর পর মহামারির কারণে গত বছর বই উৎসব হয়নি।

দীপু মনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধির কারণে ১ তারিখে সবাইকে বই দিতে পারব না। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে। বাকি ৫ শতাংশ বই ৭ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে।’

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এবার পাবে ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২টি বই। তবে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করতে গিয়ে বই ছাপানোর কার্যাদেশে দেরি হওয়ায় সময়মতো পাঠ্যপুস্তক তৈরি হওয়ার বিষয়ে শঙ্কা ছিল।

ছাপাখানার কাজের অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২১ কোটি বই বাঁধাই হয়েছে, সরবরাহ হয়েছে ১৭ কোটির বেশি। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সবই প্রায় হয়ে যাবে। তারপরেও হয়তো খুব স্বল্প সংখ্যক বাদ থাকতে পারে। আশা করা যায়, সেটাও অবশ্যই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া যাবে।

দীপু মনি বলেন, ‘আমি এখানে দেখলাম কাজ পুরোদমে চলছে। তাদের যতটুকু কাজ পুরোটাই হয়ে গেছে। এখন কিছু বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। তারা দুইদিনের মধ্যে এগুলো সব সরবরাহ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ১৫৮টি প্রেসে মাধ্যমিকের এবং ৪২টিতে প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ চলছে। তদারকির জন্য একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবির পক্ষে সপ্তাহে দুই-তিনদিন প্রেস পরিদর্শন করা হয়। প্রাক-প্রাথমিকের বইয়ের টেন্ডারে একটি সমস্যা হয়েছিল, সেটা আবার করা হয়েছে। সেটাও আশা করছি ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে।

নতুন বইয়ে ভুলের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি ভুল যেন না হয়। আর নিম্নমানের কাগজ দেওয়া হলে সেসব প্রেসকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। যদি মান নিয়ে কেউ দুর্নীতি করে, খারাপ মানের বই দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *