বিজয় দিবসে ইন্দিরার নাম না নেওয়ায় মোদি সরকারকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার তোপ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

ভারতের কংগ্রেস দলীয় সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ দলটির নেতারা বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম উল্লেখ না করায় মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছেন। রাহুল বলেছেন, ইন্দিরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে ইন্দিরার নাম না নেওয়ায় প্রিয়াঙ্কা মোদি সরকারকে ‘নারী বিদ্বেষী’ বলে অভিযুক্ত করেন। কংগ্রেসের অন্য নেতারাও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, দেহরাদুনে এক জনসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল বলেন, ‘দিল্লিতে বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ইন্দিরা গান্ধীর কোনও উল্লেখ ছিল না। যে মহিলা এই দেশের জন্য ৩২টি বুলেট খেয়েছিলেন, তার নাম আমন্ত্রণপত্রে ছিল না কারণ এই সরকার সত্যকে ভয় পায়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তান ১৩ দিনের মধ্যে মাথা নত করেছিল।
সাধারণত, একটি যুদ্ধ ৬ মাস বা এক থেকে দুই বছর ধরে চলে। আফগানিস্তানকে হারাতে আমেরিকার ২০ বছর লেগেছিল। কিন্তু ভারত পাকিস্তানকে ১৩ দিনের মধ্যে হারায়। কারণ ভারত ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং এক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’

এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, “বাংলাদেশের ৫০ তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি স্মরণ করছি মুক্তিযোদ্ধা, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর যোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এবং সাহসীদের মহান বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে। আমরা একসঙ্গে অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করেছি। ঢাকায় (ভারতের) রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি প্রত্যেক ভারতীয়র কাছেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।” অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওই টুইটেও ইন্দিরা গান্ধীর নাম উল্লেখ ছিল না।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *