মাদারীপুর: মহান বিজয় দিবসে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। পরে দলীয় সব কর্মসূচি বর্জন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়।
দলীয় একাধিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের নাম ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান গ্রুপের কমিটি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা গ্রুপের কমিটি একই সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা দলীয় সকল কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় শহীদ মিনারে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এ বিষয়ে শাহাবুদ্দিন মোল্লা গ্রুপের রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন খান বলেন, ‘প্রশাসনের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে পুষ্পস্তবক অর্পণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের নেতাকর্মীরা কৌশলে বেরিকেড সৃষ্টি করে পুষ্পস্তবক অর্পণে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে আসি।’
অন্যদিকে শাজাহান খান গ্রুপের রাজৈর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাগর আহমেদ উজির বলেন, ‘আমরা শহীদ মিনারের সামনে আগে যাই। ওই কমিটির সভাপতি গোপা শারমিন আমাদের সামনে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে বাধা সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা।’
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুজ্জামান সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাদিক বলেন, ‘তেমন বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ফুল দেওয়া নিয়ে কিছুটা তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে।’