প্রধানমন্ত্রী চাইলেও মুরাদকে এমপি পদ থেকে বাদ দিতে পারবেন না—-পরিকল্পনামন্ত্রী

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

সুনামগঞ্জ: সংসদ সদস্য পদ থেকে ডা. মুরাদকে অপসারণ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলেও কিছু করতে পাবেন না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, ‘কিছু অ্যাকশন আছে আইন দ্বারা নিতে হয়। কারণ ডা. মুরাদ নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তাকে অপসারণ করতে অবশ্যই আইনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের মো. নূরুল হক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠিন কাজ কঠিনভাবে করেন। আপনারা লক্ষ্য করেছেন একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী অন্যায় করেছিলেন, দেশের মানুষ প্রতিবাদ করেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে তার সমালোচনা হয়েছিল। সেগুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাকে কোনো সুযোগ দেননি। অ্যাকশন নিয়েছেন, দেশের মানুষ সাক্ষী।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রয়োজনে কঠিনও হতে পারেন। তবে বেশিরভাগ সময় তিনি অত্যন্ত নরম ও কোমল, মায়ের মতো। সুতরাং তাকে সহায়তা করতে হবে।’

এমএ মান্নান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্মদানের পর থেকেই মায়েরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেন। তবে বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধ পরিকর। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করা আমরা সমর্থন করি। রাষ্ট্রের কাজ হলো মানুষের নিরপত্তা, ন্যায় বিচার, শিক্ষা নিশ্চিত করা।’

আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার বিষয়টি আইনের আওতাধীন। কারণ প্রধানমন্ত্রী চাইলে বা ইচ্ছে করলেই এই বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না।’

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন, অধ্যক্ষ শেরগুলো আহমদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে একটি পরিত্যক্ত সরকারি ভবনে সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি এই স্কুলের দৃষ্টিনন্দন ভবন করে দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী জিয়াউল হক। ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে তার বাবা ব্যবসায়ী মো. নূরুল হকের নামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *