ঢাকা: সংঘাত, সংঘর্ষ আর কারচুপির অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত বৃহস্পতিবার এই ধাপে ৮৩৫ ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের মতো জয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যাগত দিক থেকে আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও এই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের আধিপত্য ছিল লক্ষণীয়। দলীয়ভাবে বিএনপি এই নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নিলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয় পেয়েছেন। যদিও বৃহস্পতিবার ভোটের আগেই ৮১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ৭৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২০৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫টি ইউপিতে কোনো ভোট ছাড়াই সকল পদে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন হয়ে গেছে। তফসিলের শুরু থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নকে বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে সর্বশেষ পাওয়া ভোটের ফলে ২০৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। পাশাপাশি এ নির্বাচনে ৬৪টি ইউনিয়নে বিএনপির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন।
এসব ঘটনার বেশিরভাগ ঘটেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে।
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নাসিরনগর প্রতিনিধি জানান: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রভাবহীন ইউপি নির্বাচনে বেশির ভাগই জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে ২-১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও আছেন। কোথাও কোথাও নৌকা আবার তৃতীয় হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উৎসবমুুখর পরিবেশে ওই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ভোট হয়। এরপর গভীর রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ৬ ইউনিয়নে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আর ৭টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নির্বাচনে বুুড়িশ্বর ইউনিয়নে বিজয়ী হন আনারস প্রতীকের ইকবাল চৌধুরী। তিনি পান ৯৪৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এটিএম মোজাম্মেল হক সরকার পেয়েছেন ৭৪৬৩ ভোট। নাসিরনগর ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের পুতুল রানী দাশ। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৮৭৮। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিজ মিয়া পেয়েছেন ৩৮৫৭ ভোট। কুন্ডা ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি’র মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া। আনারস প্রতীকের এ প্রার্থী ৫৯৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ৪৫১১ ভোট। আর ৩৮৪৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের ওয়াছ আলী। ফান্দাউকে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ফারুকুজ্জামান ফারুক। ৬১০১ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম ঘোড়া প্রতীকের মো. শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২৮০৮ ভোট। হরিপুর ইউনিয়নে ৬১৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফারুক মিয়া। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি’র মো. জামাল মিয়া পেয়েছেন ৪১৬৯ ভোট। তৃতীয় নৌকার প্রার্থী ওয়াসিম আহমেদ পেয়েছেন ১৩৫৫ ভোট। গোয়ালনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. আজহারুল হক চৌধুরী ৪১৫০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. কিরণ মিয়া পেয়েছেন ৪১২১ ভোট। ভলাকুট ইউনিয়নে ৮৭৩০ ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের রুবেল মিয়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের মো. আরাফাত আলী পেয়েছেন ৫৬৩৩ ভোট। চাপরতলা ইউনিয়নে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় আওয়ামী লীগ আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে। ২৯২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন নৌকা প্রতীকের মো. মনসুর আলী ভূইয়া। তার নিকটতম চশমা প্রতীকের আবদুল হামিদ পেয়েছেন ২৯০৭ ভোট। পূর্বভাগ ইউনিয়নে ৪৩১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের মো. আক্তার মিয়া। তার নিকটতম মোহাম্মদ. হোসেন পেয়েছেন আনারস প্রতীকে ৩৯১৬ ভোট। গোকর্ন ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. শাহিন। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৫১১। তার নিকটতম নৌকার ছোয়াব আহমেদ হৃতুল পেয়েছেন ৪৯৯৩ ভোট। গুনিয়াউক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. জিতু মিয়া জয়ী হয়েছেন ৩৬৫৬ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামছুল হক পেয়েছেন ২৫৭৯ ভোট। চাতলপাড় ইউনিয়নে ১১ হাজার ৩৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের রফিকুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শেখ আবদুল আহাদ পেয়েছেন ৭৩২৯ ভোট। ধরমণ্ডল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। আনারস প্রতীকের এ প্রার্থী পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৯৬ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. বাহার উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৪২৮০ ভোট।
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে জানান, সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। শায়েস্তা ইউনিয়নে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আব্দুল হালিম। জয়মণ্ডপ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিঃ শাহাদত হোসেন নির্বাচিত হন। চান্দহর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত হোসেন বাদল। জামসা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গাজী কামরুজ্জামান। জার্মিতা ইউনিয়নে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবুল হোসেন। চারিগ্রাম ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেওয়ান রিপন হোসেন, বলধারা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মাজেদ খান এবং সিংগাইর সদর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি ঘরোয়ানা স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহিনুর রহমান সৌরভ। এছাড়া বায়রা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিন্নাহ খান লাটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, দ্বিতীয় ধাপের মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ৫টি ও মুজিবনগর উপজেলার ৪টি ইউপি নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। এর মধ্যে ৭টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ২টিতে নৌকার প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মশিউর রহমান ও বামন্দী ইউনিয়নে ওবাইদুর রহমান কমল চেয়ারম্যান হিসাবে জয়লাভ করেছেন। কাথুলী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান রানা, মটমুড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমেদ, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুল আলম রবি, বাগোয়ান ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়ূব হোসেন, পিরোজপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু এবং মোনাখালী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুর রহমান চেয়ারম্যান হিসাবে জয়লাভ করেছেন।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোর সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন তারা হলেন- তেবাড়িয়া ইউনিয়নে ওমর আলী প্রধান (নৌকা), কাফুরিয়া ইউনিয়নে আবুল কালাম (স্বতন্ত্র), হালসা ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম (নৌকা বিদ্রোহী), ছাতনী ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন সরকার (নৌকা), দিঘাপতিয়া ইউনিয়নে শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ (নৌকা), বড়হরিশপুর ইউনিয়নে ওসমান গণী ভূঁইয়া (নৌকা) এবং লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া নুরুজ্জামান কালু (নৌকা বিদ্রোহী। এছাড়া বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নে শাহনাজ পারভীন (নৌকা), জোনাইল ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ (নৌকা বিদ্রোহী), নগর ইউনিয়নে মস্তফা শামসুজোহা সাহেব (নৌকা বিদ্রোহী), বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে মোমিন আলী (নৌকা) এবং গোপালপুর ইউনিয়নে আবু বক্কর সিদ্দিক (নৌকা) নির্বাচিত হয়েছেন।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউপিতে আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার (নৌকা) মামুদপুর ইউপিতে মশিউর রহমান শামীম (নৌকা), আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউপিতে ডিএম রাহেল ইমাম (নৌকা), রায়কালী ইউপিতে আব্দুর রশীদ মণ্ডল (নৌকা), তিলকপুর ইউপিতে সেলিম মাহবুব সজল (নৌকা), রুকিন্দিপুর ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আহসান কবির এপ্লব (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গোপীনাথপুর ইউপিতে হাবিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাগান বাজার ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সাজু, দাঁতমারা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জানে আলম, নারায়ণহাট ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু জাফর মাহমুদ, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পাইন্দংয়ে আনারসের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছরওয়ার হোসেন স্বপন, কাঞ্চন নগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী কাজী মোহাম্মদ দিদারুল আলম, সুন্দরপুরে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, রোসাংগিরিতে নৌকার প্রার্থী সোয়েব আল সালেহীন, সমিতির হাটে নৌকার প্রার্থী হারুন অর রশিদ, ধর্মপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হক, জাফতনগর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়া উদ্দিন জিয়া নির্বাচিত হয়েছে।
রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, কালকিনি উপজেলায় স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- লক্ষীপুর ইউনিয়নে মৌসুমি হক সুলাতানা, সাহেবরামপুর ইউনিয়নে মুরাদ সরদার, বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, কয়ারিয়া ইউনিয়নে কামরুল ইসলাম মোল্লা (নুর মোহাম্মদ), শিকারমঙ্গল ইউনিয়নে সিরাজুল হক মাল। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হলেন- সিডি খান ইউনিয়নে চানমিয়া শিকদার, আলীনগর ইউনিয়নে সাহীদ পারভেজ এবং রমজানপুর ইউনিয়নে বিএম মিল্টন ইব্রাহিম। এছাড়া ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন রেজাউল করিম ভাষাই ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন কাজী বাকাই ইউনিয়নে নুর মোহাম্মদ হাওলাদার, বালিগ্রাম ইউনিয়নে মজিবুর রহমান, নবগ্রাম ইউনিয়নে দুলাল তালুকদার, গোপালপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ হোসেন।
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি জানান, নরসিংদীর সদর উপজেলার চর দীঘলদীতে দেলোয়ার হোসেন শাহীন (আওয়ামী লীগ), আলোকবালী ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন সরকার দিপু (আওয়ামী লীগ) ও রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নে আলহাজ ফেরদৌস কামাল জুয়েল (আওয়ামী লীগ) নৌকা প্রতীক, শ্রীনগরে রিয়াজ মোরশেদ খান রাসেল (আওয়ামী লীগ) নৌকা, চরসুবুদ্ধিতে নাসির উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) নৌকা। বাঁশগাড়ীতে রাতুল হাসান জাকির (স্বতন্ত্র), চরমধুয়ায় আহসান শিকদার (স্বতন্ত্র), মির্জানগরে বশির উদ্দিন সরকার রিপন (স্বতন্ত্র), আমিরগঞ্জে ফজলুল করিম ফারুক (স্বতন্ত্র), হাইরমারায় ডা. কবির হোসেন (আওয়ামী লীগ) নৌকা, মির্জারচরে জাফর ইকবাল মানিক (স্বতন্ত্র), নিলক্ষায় এডভোকেট আক্তারুজ্জামান শামীম (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মশিউর রহমান ও বামন্দী ইউনিয়নে ওবাইদুর রহমান কমল চেয়ারম্যান হিসাবে জয়লাভ করেছেন। কাথুলী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান রানা, মটমুড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমেদ, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুল আলম রবি, বাগোয়ান ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়ূব হোসেন, পিরোজপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু এবং মোনাখালী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুর রহমান চেয়ারম্যান হিসাবে জয়লাভ করেছেন।
দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি জানান, গতকাল ভোলার দৌলতখানে মদনপুর ইউনিয়নে মো. নাসির উদ্দীন নান্নু (নৌকা প্রতীক), মেদুয়া ইউনিয়নে মো. মঞ্জুর আলম (নৌকা প্রতীক), চরপাতা ইউনিয়নে মো. কাজল ইসলাম (নৌকা প্রতীক) ১১১৪৯ ভোট পেয়ে এবং চরখলিফা ইউনিয়নে মো. শামীম হোসেন অমি (নৌকা প্রতিক) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। উত্তর জয়নগর ইউনিয়নে মো. বশির আহমেদ সর্দার (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৯০২৬ ভোট, দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে মো. নাজমুল হাসান বাচ্চু স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস প্রতিক) ৪৯৪৭ ভোট, ভবানীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন (চশমা প্রতীক) ৩২৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
গোমস্তাপুর (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত চাঁপাই নবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জামালউদ্দিন নৌকা প্রতীকে ৯ হাজার ৬০৫ ভোট, রহনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান আনারস প্রতীকে ৪ হাজার ৮৫০ ভোট, চৌডালা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া হাবিব আনারস প্রতীকে ৮ হাজার ৪৬৪ ভোট, বোয়ালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শামিউল আলম নৌকা প্রতীকে ৯ হাজার ১৪২ ভোট, বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৯ হাজার ৩৫৪ ভোট, আলিনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আবুল কাশেম মুহাম্মদ মাসুম আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৮৪৮ ভোট, রাধানগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মতিউর রহমান আনারস প্রতীকে ১৩ হাজার ৬ ৩৪ ভোট, পার্বতীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, কাপাসিয়া উপজেলায় সিংহশ্রী ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার পারভেজ খোকন, রায়েদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল হাকিম মোল্লা হিরণ, টোক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান এমএ জলিল, ঘাগটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হিরণ, সনমানিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক ভূঁইয়া, কড়িহাতা ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম মোড়ল, তরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেযারম্যান আয়ুবুর রহমান সিকদার, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, বারিষাব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম আতাউজ্জামান বাবলু (আনারস), চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল মাহমুদ খানের (মোটর সাইকেল) ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা এমএ ওয়াহাব খান খোকার (মোটর সাইকেল)।
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম বাবলু, রাধাকানাই ইউপিতে গোলাম কিবরিয়া শিমুল তরফদার, ভবানীপুর ইউপিতে জবান আলী সরকার ও এনায়েতপুর ইউপিতে বুলবুল হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নাওগাঁও ইউনিয়নে মোজাম্মেল হক, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীন বাদল, রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে মুক্তা চৌধুরী ও কালাদহ ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফুলবাড়িয়ার চারটি ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন। তারা হচ্ছেন পুটিজানা ইউনিয়নে সাইদুর রহমান রয়েল, বালিয়ান ইউপিতে ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান পলাশ, বাকতা ইউপিতে ফজলুল হক মাখন ও আছিম পাটুলী ইউনিয়নে ইমরুল কায়েস।
হালুয়াঘাট উপজেলার নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন- ভুবনকুড়া ইউনিয়নে এম সুরুজ মিয়া, জুগলী ইউনিয়নে মোহাম্মদ সামাদুল ইসলাম, গাজিরভিটা ইউনিয়নে আব্দুল মান্নান, ধারা ইউনিয়নে তোফায়েল আহমেদ বিপ্লব ও ধুরাইল ইউনিয়নে ওয়ারিছ উদ্দিন সুমন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নড়াইল ইউপিতে আনোয়ার হোসেন মানিক ও স্বদেশী ইউপিতে জিহাদ সিদ্দিকী ইরাদ জয়ী হয়েছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হচ্ছেন বিলডোরা ইউনিয়নে সাবজাল হোসেন খান, শাকুয়াই ইউনিয়নে ইঞ্জিনিয়ার ইউনুছ আলী খান, আমতৈল ইউনিয়নে শফিকুর রহমান শফিক। ধোবাউড়া উপজেলার ধোবাউড়া ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম মুকুল (নৌকা), গামারীতলা ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন খান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বর্তমান চেয়ারম্যান), ঘোঁষগাও ইউনিয়নে হারুন অর রশিদ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে গোয়াতলা ইউনিয়নে জাকিরুল ইসলাম তালুকদার টুটন ও দক্ষিণ মাইজপাড়া হুমায়ূন কবির সরকার ও পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, জয়লাভ করেন।
তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, তাড়াইল উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নির্বাচনে নৌকা মার্কার তিনজন, লাঙ্গল মার্কার তিনজন ও স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কায় বিজয়ীরা হচ্ছেন, ২নং রাউতি ইউপিতে মো. ইকবাল হোসেন তারিক, ৩নং ধলা ইউপিতে মো. আফরোজ আলম ঝিনুক এবং ৫নং দামিহা ইউপিতে এ.কে. মাইনুজ্জামান নবাব। জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কায় বিজয়ীরা হচ্ছেন, ৪নং জাওয়ার ইউপিতে মো. ইমদাদুল হক রতন, ৬নং দিগদাইড় ইউপিতে মো. আশরাফ উদ্দিন ভুঞা আসাদ এবং ৭নং তাড়াইল-সাচাইল ইউপিতে মো. সাঈম দাদ খান নওশাদ। এছাড়া ১নং তালজাঙ্গা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. আবু জাহেদ ভূঞা আনারস মার্কা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান টিপু সুলতান (নৌকা), ভারুয়াখালী ইউনিয়নে কামাল উদ্দিন ও চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নে মুজিবুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও পিএমখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (আনারস)। অপরদিকে খুরুশকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শাহজাহান ছিদ্দিকী খুরুশকুলে ১১টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৬শ ভোটে এগিয়ে আছেন। তবে স্থগিত কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ২ হাজার ৬৪৪। তাই এখনো কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জয়ী বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, গর্জনিয়া ইউনিয়নে মুজিবুর রহমান বাবুল, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল শামশুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে খোদেসতা রীণা নৌকা নিয়ে ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে খুনিয়াপালং ইউনিয়নে আবদুল হক কোম্পানী, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, রাজারকুল ইউনিয়নে মুফিজুর রহমান, ঈদগড় ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ইসমাঈল নোমান, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে শামশুল আলম ও রশিদনগর ইউনিয়নে এমডি শাহ আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, শ্রীনগর উপজেলায় বাড়ৈখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেন, হাঁসাড়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী মো. সোলায়মান খান, বীরতারা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র (বিকল্পধারা) গাজী শহিদুল্লাহ কামাল ঝিলু, ষোলঘর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ আজিজুল ইসলাম, শ্রীনগর ইউনিয়নে ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র (বিএনপি) তাজুল ইসলাম, শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) নাজির হোসেন, বাঘড়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) আবু নাসের তানজিল, ভাগ্যকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ, রাঢ়ীখাল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল বারেক খান বারী, কোলাপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) রফিকুল ইসলাম বাবু, পাটাভোগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুন খান, আটপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ফজলুর রহমান, তন্তর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) আলী আকবর, কুকুটিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) বাবুল হোসেন বাবু।
পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি জানান, পীরগাছা উপজেলায় বিজয়ীরা হলেন- পারুল ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন (নৌকা), ইটাকুমারী আবুল বাশার (নৌকা), অন্নদানগরে আমিনুল ইসলাম (নৌকা), পীরগাছা সদরে মোস্তাফিজুর রহমান রেজা (স্বতন্ত্র-বিএনপি), ছাওলায় নজির হোসেন (স্বতন্ত্র-বিএনপি), তাম্বুলপুরে বজলুর রশিদ মুকুল (স্বতন্ত্র-জামায়াত), কৈকুড়িতে নুর আলম (জাপা) ও কান্দি ইউনিয়নে আব্দুস ছালাম আজাদ জুয়েল (স্বতন্ত্র-বিএনপি)। পীরগঞ্জে নির্বাচিতরা হলেন- চৈত্রকোল ইউনিয়নে আরিফুজ্জামান শাহ্ (নৌকা), ভেণ্ডাবাড়িতে সাদেকুল ইসলাম সাদেক (নৌকা), বড় দরগায় শিলা আক্তার (স্বতন্ত্র), কুমেদপুরে আমিনুল ইসলাম (নৌকা), মদনখালীতে নূর মোহাম্মদ মন্জু (স্বতন্ত্র), টুকুরিয়ায় আতাউর রহমান (নৌকা), শানেরহাটে মেজবাহুল (নৌকা), পাঁচগাছীতে বাবলু মিয়া (নৌকা), চতরা ইউনিয়নে এনামুল হক শাহীন (নৌকা) ও কাবিলপুরে রবিউল ইসলাম (নৌকা)।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ছাতক সদর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম (আনারস) ৩ হাজার ১৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খুরমা উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ (নৌকা) ৪ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি টানা ৩য় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। কালারুকা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান অদুদ আলম (নৌকা) ৯ হাজার ৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গয়াছ আহমদ (নৌকা) ৫ হাজার ৯২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জাউয়াবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেম্বার আব্দুল হক (ঘোড়া) ৪ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মেনানীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ সুন্দর আলী (নৌকা)। তার প্রাপ্ত ভোট হলো ৫ হাজার ৪২৬। ইসলাপুর ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা এড. সুফী আলম সুহেল (টেলিফোন)। তার প্রাপ্ত ভোট হলে ৫ হাজার ৪১৭। চরমহল্লা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল হাসনাত (মোটরসাইকেল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোলারবাজার ইউনিয়নে বিএনপি নেতা নূরুল আলম (চশমা) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর (ঘোড়া) ২ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মাগুরা প্রতিনিধি জানান, মাগুরা সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন রাঘবদাইড় ইউনিয়নে আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, মঘি ইউনিয়নে হাচনা হেনা, জগদল ইউনিয়নে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, গোপালগ্রাম ইউনিয়নে অধ্যক্ষ নাসিরুল ইসলাম মিলন, চাউলিয়া ইউনিয়নে হাফিজার রহমান, কছুন্দি ইউনিয়নে আবুল কাশেম মোল্যা, আঠারোখাদা ইউনিয়নে সঞ্জিবন বিশ্বাস। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন বেরইল পলিতা ইউনিয়নে এনামুল হক রাজা ও কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে জাহিদুর রহমান টিপু। শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুফতি মওলানা ওসমান গণি। প্রতিদ্বন্দী না থাকায় হাজরাপুর ইউনিয়নে কবির হোসেন, হাজিপুর ইউনিয়নে মোজাহারুল ইসলাম ও মীর রওনক হোসেন আগেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সাঈদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বানিয়াজান ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফেরদৌস রানা আনজু, স্বরমুশিয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার, শুনই ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রোকন উজ্জামান রোকন, তেলীগাতিতে আওয়ামী লীগ নেতা অখিল চন্দ্র দাস, সুখারীতে আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান, দুওজে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইদুল হক তালুকদার ও লুনেশ্বর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান কবীর। অন্যদিকে বারহাট্টার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগ ও ৩টিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে জেলা যুবলীগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আসমা ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম খান ছন্দু, বাউসী ইউনিয়নে মো. সামছুল হক, চিরাম ইউনিয়নে মো. সামছুল হক, চিরামে সাইদুর রহমান চৌধুরী, রায়পুরে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র আতিকুর রহমান রাজু, সিংধায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. নাসিম উদ্দিন তালুকদার ও সাহতায় মিজানুর রহমান চঞ্চল। এ ছাড়া নেত্রকোনা সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে লক্ষীগঞ্জে দুই কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০টির মধ্যে ২টিতে বিএনপি, ৬টিতে আওয়ামী লীগ ও ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক, চল্লিশায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল মজিদ, আমতালায় আবদু রউফ সবুজ, রৌহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ, মৌগাতীতে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কালিয়ারা গাবরাগাতীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, মেদনীতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র খাজা মিজানুর রহমান, বাংলায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র আলী আহসান সুমন, কাইলাটীতে বিএনপির স্বতন্ত্র নাজমুল হক ও দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র সেলিম আজাদ সেলিম বিজয়ী হয়েছেন।
হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় দ্ধিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন যারা তারা হলেন ১নং গেদুরা ইউনিয়নে বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম (অটোরিক্রশা) মার্কা, ২নং আমগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পাভেল তালুকদার (নৌকা) মার্কা, ৩নং বকুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তাহের (নৌকা)মার্কা, ৪নং ডাংগীপাড়া ইউনিয়নে বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আহসান হাবিব চৌধুরী (ঘোড়া) মার্কা ৫নং হরিপুর ইউনিয়নে বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (চশমা) মার্কা ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান সরকার (ঘোড়া) মার্কা।
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, দ্বিতীয় ধাপের পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. কামাল হোসেন ৬ হাজার ৪ শত ৬১ ভোট পেয়ে বেসকারিভাবে নির্বাচিত হন। সুর্য্যমনি ইউনিয়নে নৌকা মার্কার মো. আনোয়ার হোসেন ৬ হাজার ৫ শত ৩৩ ভোট পেয়ে বেসকারিভাবে নির্বাচিত হন।
মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৮ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আমলা ইউনিয়নে একলেমুর রেজা (সাবান) নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ৮শ’ ২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আমবাড়ীয়া ইউনিয়নে সাইফুদ্দিন মকুল নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। কুর্শা ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ১শ’ ৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪ হাজার ২শ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তালবাড়ীয়া ইউনিয়নে আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান মণ্ডল আনারস প্রতীকে ৬ হাজার ৫শ’ ৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ছাতিয়ান ইউনিয়নে আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী কবির হোসেন বিশ্বাস আনারস প্রতীকে ৮ হাজার ৯শ’ ৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও সদরপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। পোড়াদহ ইউনিয়নে ফারুকুজ্জামান জন আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ৫শ’ ৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধা সদর উপজেলার নির্বাচিতরা হলেন ঘাগোয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুজ্জামান রিংকু, গিদারী ইউনিয়নে হারুনুর রশিদ ইদু, মোল্লারচর ইউনিয়নে সাইদুজ্জামান সরকার। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন বোয়ালী ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম সাবু, লক্ষীপুরে আবুল কালাম আজাদ, সোয়েব মো. রাসেল, কুপতলা রফিকুল ইসলাম সরকার, সাহাপাড়ায় মশিউর রহমান, বাল্লমঝাড়ে জুলফিকার রহমান , কামারজানিতে মতিয়ার রহমান , খোলাহাটিতে মাসুম হক্কানী , বাদিয়াখালীতে সাফায়েতুল হক ও রামচন্দ্রপুরে মোসাববির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনায় রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউপিতে আওয়ামী লীগের আশরাফুজ্জামান বাবুল, শ্রীফলতলায় আওয়ামী লীগের ইসহাক সরদার ও টিএস বাহিরদিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর শেখ বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে নৈহাটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের কামাল হোসেন বুলবুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ফুলতলা উপজেলার ফুলতলা সদর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ আবুল বাশার, জামিরায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মনিরুল ইসলাম, দামোদরে আওয়ামী লীগের শরীফ মো. ভূঁইয়া শিপলু, আটরা গিলাতলায় আওয়ামী লীগের শেখ মনিরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মনোজিৎ বালা, মাগুরখালীতে আওয়ামী লীগের বিমল কৃষ্ণ সানা, খর্ণিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার, ধামালিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জহুরুল হক, আটলিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, ভাণ্ডারপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোপাল চন্দ্র দে, রুদাঘরায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. তৌহিদুজ্জামান, রংপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সমরেশ মণ্ডল, ডুমুরিয়া সদরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গাজী মো. হুমায়ুন কবীর বুলু, শোভনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সুরঞ্জিৎ কুমার বৈদ্য, শরাফপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ রবিউল ইসলাম রবি, মাগুরঘোনায় আওয়ামী লীগের মো. রফিকুল ইসলাম হেলাল, গুটুদিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ তুহিনুল ইসলাম ও সাহস ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. মাহবুবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। বটিয়াঘাটা সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের পল্লব কুমার বিশ্বাস, ভান্ডারকোট ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ওবায়দুল্লাহ শেখ ও সুরখালী ইউপিতে আওয়ামী লীগের এস কে জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, লোহালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত এডভোকেট কবির হোসেন তালুকদার (নৌকা প্রতীক) ৩৭১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আউলিয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির (নৌকা) ৭,১৩৯ ভোটে জয়লাভ করেন। বদরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত তানজিন নাহার সোনিয়া (নৌকা) ৬,৯৪৬ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। বড়বিঘাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু জাফর (আনারস) ৭,৫৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মাদারবুনিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আমিনুল ইসলাম মাসুম (নৌকা) ৫,৯৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত (নৌকা) হয়েছেন। ছোটবিঘাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আলতাফ হোসাইন হাওলাদার (নৌকা) ৫,৮৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. মাসুম মৃধা (নৌকা) ৩,৫৭৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের ১১ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান (নৌকা), কাশিপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লা বাদল (নৌকা), আলীরটেক ইউনিয়নে জাকির হোসেন (নৌকা), গোগনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজর আলী (স্বতন্ত্র), বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম (নৌকা), ধামগড় ইউনিয়নে কামাল উদ্দিন (স্বতন্ত্র), মুছাপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মাকসুদ (লাঙ্গল), বন্দর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান (লাঙ্গল), কলাগাছিয়া ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন প্রধান (লাঙ্গল)। রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়ায় জাহেদ আলী (নৌকা) ও ভোলাব ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু (স্বতন্ত্র)।
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া ৫টিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি একটি ইউনিয়নের এক কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রয়েছে। বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে কিরাটন ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম (লাঙ্গল) ২ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বারঘড়িয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল আহসান কাঞ্চন (নৌকা) ৫ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। গুনধর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু ছায়েম রাসেল (নৌকা) ৫ হাজার ১৫৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জাফরাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবু সাদাৎ মো. সায়েম (নৌকা) ২ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গুজাদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ মাসুদ (নৌকা) ৮ হাজার ৩১১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিয়ামতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. হেলিম (নৌকা) ৮ হাজার ৬১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নোয়াবাদ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা কামাল (চশমা) ৪ হাজার ২০৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জয়কা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ূন কবির (অটোরিকশা) ৩ হাজার ৫৮১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দেহুন্দা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ হানিফ (আনারস) ৪ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ উদ্দিন কনক (অটোরিকশা) ৪ হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, বেগমগঞ্জে নির্বাচিতরা হলেন-১নং আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে বাহারুল আলম সুমন (বিএনপি সমর্থিত) ২নং গোপালপুর ইউনিয়নে মোশারফ হোসেন মিন্টু (জাসদ সমর্থিত) ৪নং আলাইয়ারপুর ইউনিয়নে গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী (নৌকা), ৫নং ছয়ানি ইউনিয়নে ওয়াহিদুজ্জামান ওহিদ (বিদ্রোহী), ৬নং রাজগঞ্জ ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সেলিম (নৌকা) ৭নং একলাশপুর ইউনিয়নে সাহেদুর রহমান দিপু (বিদ্রোহী) ৮নং বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে শাহিদুর রহমান শাহীন (বিএনপি সমর্থিত), ১০নং নরোত্তমপুর ইউনিয়নে মেহেদি হাসান টিপু (নৌকা) ১১নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের আবেদ সাইফুল কালাম (নৌকা) ১২নং কুতুবপুর ইউনিয়নে কামাল হোসেন (বিদ্রোহী) ১৩নং রসুলপুর ইউনিয়নে আবদুর রশিদ (বিএনপি সমর্থিত), ১৪নং হাজীপুর ইউনিয়নে শাহ মো. আজিম মির্জা (নৌকা), ১৫নং শরীফপুর ইউনিয়নে নোমান সিদ্দিকী (বিদ্রোহী), ১৬নং কাদিরপুর ইউনিয়নে সালাউদ্দিন (নৌকা)।
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র (বিএনপি) মাছুম রেজা ঘোড়া প্রতীকে ৯৪৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সাগরনাল ইউনিয়নে নৌকার প্রতীকে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল নুর মাস্টার ৭১৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আনফর আলী (ঘোড়া) ৪৩৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী রুয়েল উদ্দিন (ঘোড়া) ৪৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী মো. আব্দুল কাইয়ুম (ঘোড়া) ৫৪৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা মনোনীত মো. জাকির হোসেন ৫৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। চন্দনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নৌকা মনোনীত মো. আহসান উল্যাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ৪নং চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ নৌকা মনোনীত মো. লতিফ সরকার ২৮৬২, বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবির আনারস মার্কা ৫৬৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী। ৫নং বড়কান্দা ইউনিয়ন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আবুল কাশেম ১৯৬০, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মো. সফিকুল হক আনারস মার্কা ২১৩৭, বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন ঘোড়া মার্কা ২৩৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী। ৬ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন- আওয়ামী লীগ নৌকা মনোনীত মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন (তপন) ৬৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী, ৭নং লুটেরচর ইউনিয়ন- আওয়ামী লীগ নৌকা মনোনীত মো. সানাউল্লাহ শিকদার ৩২৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ৮ নং ভাওরখোলা ইউনিয়ন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. সিরাজুল ইসলাম ২৬১৫, বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম ঘোড়া মার্কা ৩০৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, নৌকা প্রতীকের ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত ২ বিদ্রোহী প্রাথী বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন- নৌকা প্রতীকের বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে মোমিন আলী, গোপালপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, চান্দাইয়ে শাহানাজ পারভীন এবং বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে নগর ইউনিয়নে মস্তফা শামসুজ্জোহা ও জোনাইলে একই প্রতীকের আবুল কালাম আজাদ।