নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালখার মোড় এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ওই কক্ষসহ আশপাশের বাড়ির দেয়াল। এসময় ঘটনাস্থলেই মায়া রানী ও মঙ্গল রানী নামে দুই নারী নিহত হন। এছাড়া অগ্নিদগ্ধ একই পরিবারের ছয়জনসহ আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সকালে লালখাঁর মোড়ের মোক্তার মিয়ার পাঁচতলা ভবনের নিজতলার ফ্ল্যাটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে মোক্তার মিয়ার ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরও দুটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিস্ফোরণে বাড়ির পাঁচটি রুমের ও পাশের বাড়ির আরও দুটি রুমের দেয়াল উড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুমগুলো।
এছাড়া পাশের বাড়ির একটি রুমের ভাড়াটিয়া স্বামী-স্ত্রী ও তাদের দুই শিশু সন্তান দেয়াল চাপায় গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন একই পরিবারের ছয় জন। তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে। চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- তুলসী রানী (৫৫), তার মেয়ে ঝুমা রানী (১৯), মনি রানী (২০), সুধন (৩৪), সোহেল (১৪), ও সৌরভ (২২)। তারা সবাই একই পরিবারের।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানান, ফতুল্লা থেকে গ্যাস বিস্ফোরণ হয় ৬ জন বার্নে এসেছে। তাদের মধ্যে চার জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ও দুইজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। ভর্তি দুজন হলেন, তুলসী রানী (৫৫) তার শরীরে ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে ও ঝুমা রানী (১৯) তার শরীরে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের দু’জনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে ঝুমা রানী অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফতুল্লা লালখার মোড় এলাকা থেকে একই পরিবারের ৬ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বাহারানে দগ্ধ অবস্থায় এসেছে। তাদের মধ্যে চারজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ও দু’জনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।