জাহাঙ্গীর আলম সব হারাচ্ছেন, আবার কে বলল!

Slider টপ নিউজ


ঢাকা: টক অব দা কান্ট্রি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ইস্যু। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সিদ্ধান্ত নিবে ১৯ নভেম্বর। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দলীয় ব্যবস্থাপনায় ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ইস্যুতে সিদ্ধান্ত। ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমের দলীয় পদ বিষয়ক সিদ্ধান্ত হবে আর মেয়র পদে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার । ১৯ নভেম্বর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম অপরাধী হলে আইন ও সংবিধান অনুসারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

বর্তমানে দলীয় সিদ্ধান্ত অপেক্ষমান। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে জাহাঙ্গীর আলম অপরাধী হলে সরকারী সিদ্ধান্তের প্রশ্ন আসে। দলীয় সীদ্ধান্তের এখনো ১৭ দিন বাকি। কিন্তু ইতোমধ্যে দলীয় পদ ও স্থানীয় সরকারের মেয়র পদ হারাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম মর্মে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খবর চলছে। দলীয় সিদ্ধান্তের আগে মাঝে মাঝে অসমর্থিত সূত্রের অস্পষ্ট সংবাদ দলীয় সিদ্ধান্তকে একদিকে যেমন প্রভাবিত করার চেষ্ট করছে, অন্যদিকে গাজীপুরে সরকারী দলের রাজনীতিতে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি প্রধানমন্ত্রী অসন্তুষ্ট মর্মে একটি দায়িত্বহীন সংবাদ প্রচার হয়। এখন জাহাঙ্গীর আলম দলীয় পদ ও মেয়র পদ হারাতে পারেন বলে অসমর্থিত সূত্রের দায়িত্বহীন সংবাদ কোন মৌলিক সংবাদকে সমর্থন করে না। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলেই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয় মর্মে বলাবলিও আছে।

রাজনীতি সচেতন মানুষ বলছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে আগাম পক্ষপাতিত্বমূলক সংবাদ বিশৃঙ্খলাকে উস্কে দেওয়ার সামিল। একই সাথে দলীয় সিদ্ধান্তের আগেই জাহাঙ্গীর আলমকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে মেয়র পদ হারানোর সরকারী সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগাম মন্তব্য স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র।

একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আওয়ামীলীগ দলীয় প্রধান সীদ্ধান্ত দেওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমে কারা সংবাদ দিচ্ছেন তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ হওয়া দরকার। একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোন সূত্র স্পষ্ট না করায় সৃজিত সংবাদগুলো সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

সূত্র বলছে, জাহাঙ্গীর আলম বিরোধীরা কৌশলে অসমর্থিত সূত্রের মাধ্যমে মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিকর সংবাদ তৈরির চেষ্টা করছেন। এ ধরণের গুজবী সংবাদ প্রচার অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রী,আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুন্ন হবে তেমনই গাজীপুর মহানগরে রাজনৈতিক সহিংসতা সৃষ্টির সম্ভবনা থেকেই যাবে।

প্রসঙ্গত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী একটি পোষ্টকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এ বিষয়ে আগামী ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভা করে সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *