জীবনে খারাপ সময় আসার দরকার আছে

Slider বিনোদন ও মিডিয়া


ঢাকা: আজ চিত্রনায়িকা পরীমনির জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তিনি বেশ ঘটা করেই দিনটি পালন করবেন। তবে এবারের অতিথি তালিকায় নাকি থাকছেন না আগের অনেকে! জন্মদিন, বর্তমান কাজ ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।

এক সাক্ষাৎকারে পরীমনি বলেন, আমার তো বিয়ে হচ্ছে! ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছে। শুনছেন না সানাই বাজছে (ফোনের ওপাশে সানাইয়ের শব্দ)। এখন আমি বিয়ের পিঁড়িতে বসে আছি। বিয়ের পিঁড়িতে বসে কনে ইন্টারভিউ দিচ্ছে! বেশ মজা না। এ রকম হয়েছে কী আগে?

না, আমি এমন কারও ইন্টারভিউ নিতে পারিনি। আপনিই প্রথম, যে বিয়ের পিঁড়িতে বসে আমার সঙ্গে কথা বলছেন। তা দাওয়াত দিলেন না যে। আয়োজন করে বিয়ে, পরিচিতজনদের দাওয়াত দেওয়া উচিত ছিল।

হা হা। সরি। কাউকে দওয়াত দিতে পারিনি। তবে আজ আসবেন। দাওয়াত রইল। জন্মদিনের? তা না তো কি, বিয়ের! বিয়ে তো হচ্ছে শুটিংয়ে (হাসি)। ওস্তাদজীর (গিয়াস উদ্দিন সেলিম) গুণিন ছবির কাজ করছি। এখন জš§দিনের দাওয়াত রইল। আমার জন্য দোয়া করতে আসবেন। এবার ড্রেসকোড সাদা আর লাল।

শুনলাম এবারের জন্মদিনে আপনার আগের অনেক শুভাকাক্সক্ষীকে দওয়াত দিচ্ছেন না?

হা হা। অনেক শুভাকাক্সক্ষীকে বিপদের সময় চিনেছি। বিপদেইতো বন্ধুর পরিচয়- তাই না? আপনারা দেখেছেন, আমিও দেখেছি কারা আমার বিপদে কি করেছে। কারা পাশে ছিল, কারা ছিল না। আসলে কি জানেন, মানুষের জীবনে খারাপ সময় আসার দরকার আছে। এতে আপনি বন্ধু চিনতে পারবেন। প্রকৃত বন্ধুরা কখনো আপনাকে ছেড়ে যাবে না। তবে হ্যাঁ, আপনি অন্যায় করলে সেটা ভিন্ন কথা। অন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত না। আমি জানি, আমি জানা মতে কোনো অন্যায় কাজ করিনি। যারা এটা বিশ^াস করে আমার পাশে ছিল তাদেরই দাওয়াত।

ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন, বাবা-মেয়ের একটি গল্প। এটা কি তাদের জন্যই?

যারা বিপদে আপনার পাশে থাকেনি, তারা আপনার আনন্দের অংশীদার হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।

ছবির কাজ হচ্ছে ঢাকার বাইরে। শুটিং বাদ দিয়ে জন্মদিন পালন করবেন?

বার্থডে বলে কথা! একদিনের ছুটি নিয়েছি। কালকের (আজ) পর আবার টানা শুটিং। তাই এই একটি দিন আমি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও চলচ্চিত্রের মানুষদের সঙ্গে কাটাতে চাই।

জীবনে একটা খারাপ সময় পার করেছেন। আপনার কথা শুনে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। কাজ করছেন। কেমন লাগছে?

কিছু কিছু সময় আপনার জীবনে আসবে, যেটা আপনি ভুলে যেতে চাইবেন। যদিও কাজটা সহজ না। কিন্তু ভুলতে না পারলে আপনি সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন না। তাই আমি চেষ্টা করেছি ভুলে যেতে। পেরেছি। না পারলে কাজে মন দিতে পারতাম না। আপনার কী মনে আছে আমি আপনাকে বলেছিলাম, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজে মনোযোগ দিব?

হুম মনে আছে। আপনি এটাও বলেছিলেন, আমি অভিনেত্রী, অভিনয় ছাড়া আমার বাঁচা সম্ভব না-

এটা তো একদম সত্য কথা। অভিনয় আমার ধ্যানজ্ঞান। অভিনেত্রী না হলে কি হতাম? এমন প্রশ্ন কেউ আমাকে করলে আমি কোনো উত্তর খুঁজে পাই না। মনে হয়- আসলেই তো কি হতাম? আমি তো অন্য কোনো কাজ পারি না।

কাজে ব্যস্ত থাকাই ভালো। তা এই ব্যস্ততা টানা কতদিনের?

এখন পর্যন্ত ডিসেম্বর। টানা শিডিউল দেওয়া। একটা কাজ শেষ করেই অন্য কাজ শুরু করব। বিশ্রাম নিতে চাচ্ছি না। কাজের মধ্যে থাকতে চাচ্ছি।

আপনার হাতে আছে সঞ্জয় সমাদ্দারের ‘বায়োপিক’, রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’ ও অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’। ছবিগুলো নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?

প্রতিটা ছবি নিয়েই আমি খুব আশাবাদী। প্রতিটি ছবির গল্পই একদম আলাদা আলাদা। মানে আপনি চাইলেই একটির সঙ্গে অন্যটি মিলাতে পারবেন না। দর্শকরা আমার নতুন ছবিগুলো উপভোগ করবেন।

কোন ছবির কাজ আগে শুরু করবেন?

বর্তমান কাজ শেষ হওয়ার পর ‘বায়োপিক’-এর শুটিং শুরু করবো। ‘গুণিন’-এর কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে ‘বায়োপিক’-এর প্রস্তুতি পর্বের কাজও চলছে। নানা কারণে ওজন বেড়ে ছিল। ‘বায়োপিক’-এর জন্য ওজন কমাতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে ওজন মাপার একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। তখন আমার ওজন ছিলো ৫৫.৩৫ কেজি। দেখি কত কেজি কমাতে পেরেছি। ছবির কাজ শুরু হওয়ার আগে মাপবো আবার।

চলচ্চিত্রের খারাপ সময় যাচ্ছে- এমন কথা চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাই বলে থাকেন। আপনি কী মনে করেন?

আমি কিন্তু একটু আগেই বলেছি, খারাপ সময় না আসলে বোঝা যায় না পরবর্তীতে আপনার কী করা উচিত। একই কথা সিনেমার ক্ষেত্রেও। খারাপ সময় যাচ্ছে, এখন ভালো করতে হলে কি কি করা উচিত সেটা এতদিনে সবাই বুঝে ফেলছেন। এখন সে অনুযায়ী পথ চললেই ভালো সময় আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *