নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু করছেন ডনাল্ড ট্রাম্প

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


নতুন একটি সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক প্লাটফরম চালু করবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর নাম হবে ‘ট্রুথ সোশ্যাল’। ট্রাম্প বলেছেন, বিগ টেক হিসেবে পরিচিত জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিপীড়নের প্রতিপক্ষ হবে তার এই মাধ্যম। কারণ, ওইসব মাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে। ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) এর বাইরে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক ভিডিও-অন-ডিমান্ড সার্ভিস চালু করতে চাইছে। টিএমটিজির চেয়ার ডনাল্ড ট্রাম্প। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এ বছর ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে তার সমর্থকরা ভয়াবহ দাঙ্গা চালায়। এতে কমপক্ষে ৫ জন মারা যান।

ওই দাঙ্গায় তিনি উস্কানি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। এরপরই টুইটার এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ট্রাম্পকে হয়তো নিষিদ্ধ করে, না হয় সাসপেন্ড করে। তারপর থেকেই তিনি এবং তার উপদেষ্টারা ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন যে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এ বছরের শুরুতে ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডনাল্ড জে ট্রাম্প’ চালু করেন ট্রাম্প। একে তার একটি ব্লগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু এটি চালুর এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে তার সিনিয়র সহকারি জেসন মিলার বলেছেন, তাদের কর্মপরিকল্পনার একটি বৃহত্তর অংশের সাহায্যকারী ছিল ওই প্রচেষ্টা।

ট্রাম্পের সর্বশেষ উদ্যোগ ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ আগামী মাস থেকে আতন্ত্রিত অতিথিদের জন্য খুলে দেয়া হবে। টিএমটিজির বিবৃতি অনুযায়ী, দেশের সবার জন্য এই সাইট খুলে দেয়া হবে আগামী বছরের প্রথম তিন মাসে। ডনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, আমরা এমন এক জগতে বসবাস করছি, যেখানে টুইটারে তালেবানদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। পক্ষান্তরে আপনাদের প্রিয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে রাখা হয়েছে। সবাই আমার কাছে জানতে চান, কেন আমি বিগ টেকগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়াই না? ভাল কথা। আমরা সহসাই আসছি।

এ জন্য বড় রকমের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে ডনাল্ড ট্রাম্প টিম। এই কোম্পানির নতুন কোনো ওয়ার্কিং প্লাটফরম থাকবে কিনা সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। তবে এই সাইটটি একটি রেজিস্ট্রেশন পেইজ হবে। এর মধ্য দিয়ে তিনি টুইটার এবং ফেসবুকের প্রতিপক্ষ একটি প্লাটফরম সৃষ্টি করতে চান। এটা খুব স্পষ্ট যে, এই প্লাটফরম হবে ভীষণ মাত্রায় রাজনৈতিক। টুইটার বা ফেসবুক যে ধারনা নিয়ে অগ্রসর হয়েছে, এটা তেমন হবে না। তবে মুক্ত মত প্রকাশের অন্য মাধ্যম ‘পারলার’ অথবা ‘গ্যাব’-এর মতো একটি মাধ্যম হতে পারে এটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *