রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা : অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

Slider জাতীয়


কক্সবাজার:কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নিহত মুহিব্বুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ উখিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। উখিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত গাজী সালাউদ্দিন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

উখিয়া থানা পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-এর ব্লক-ডি ৮ এ মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন । খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশ রাত ১টার দিকে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসেন।

ময়নাতদন্তের পর মুহিবুল্লাহর মরদেহ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে বিকালে কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে নামাজে জানাযার পর তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এসময় সেখানে হাজার হাাজার রোহিঙ্গার ঢল নামে।

এদিকে নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ জানিয়েছিলেন, বুধবার রাতে এশার নামাজের পর তার অফিসে কয়েকজন সহযোগীদের সাথে আলাপচারিতাকালে হঠাৎ ১০/ ১২ জন রোহিঙ্গা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মুহিব্বুল্লাহকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় তিনি একটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহর দাফন শেষে রাতে উখিয়া থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এমনকি অজ্ঞাত আসামিদের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, অজ্ঞাতনামা আসামি হলেই পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। তদন্ত করে, আলামত পর্যবেক্ষণ করে আসামি শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে হবে। সুতরাং বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জ বলেও জানান তিনি। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে, অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে।

মুহিব্বুল্লাহ কক্সবাজারের শরনার্থী শিবিরকেন্দ্রিক আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *